আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৭:৪৭

ঘুরে আসুন বিশ্বের সেরা ১০ গন্তব্যে

পরাগমাঝি
ঘুরে আসুন বিশ্বের সেরা ১০ গন্তব্যে

ঘুরে বেড়ানোর নেশা সবারই কম বেশি রয়েছে। সময় আর সুযোগ মিলে গেলে অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন ঘর ছেড়ে, অজানাকে জানতে। বিমূঢ় বিস্ময়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ দেখে নিতে, ছুঁয়ে দেখতে চায় অদেখাকে, অচেনাকে।

সাধ আর সাধ্য মিলে গেলে দুনিয়া চষে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। দেশে দেশে ভ্রমণ পিপাসু এমন মানুষ সে কালেই ছিলো, একালেও কমতি নেই। পৃথিবীর বিখ্যাত সব জায়গাগুলো তাই সারা বছরই ভ্রমণপ্রেমীদের পদচারনায় আন্দোলিত হয়।

পর্যটক সমাগমের ওপর ভিত্তি করে আমেরিকার নিউইয়র্কের পত্রিকা হোপস এন্ড ফেয়ার পৃথিবীর এমন ১০টি স্থানের তালিকা তৈরী করেছে।

সিডনি অপেরা হাউস:

১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সিডনি অপেরা হাউস রয়েছে এ তালিকায় ১০ নম্বরে। সিডনি হারবারে পাশে সমুদ্রের ওপর নির্মিত এই নান্দনিক নির্মাণশৈলী দেখতে প্রতিবছর প্রায় ৮২ লাখ পর্যটক সমাগম হয়।

পাল তোলা নৌকার আদলে নির্মিত এই অপেরা হাউসটি পৃথিবীর ব্যাস্ততম মিউজিক ভেন্যু হিসেবেও স্বীকৃত। এখানে বছরে প্রায় আড়াই হাজারের মতো শো অনুষ্ঠিত হয়।

দ্যা জোকালো, মেক্সিকো:

মেক্সিকো সিটির কেন্দ্রে অবস্থিত এই স্কয়ারে একসময় দুর্ধর্ষ বুলফাইট হতো। ১৮১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কোয়ারে এখন কেবল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, নাগরিক সমাবেশ, উৎসব এসবই অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই স্কয়ারে প্রায় ১ কোটি লোকের সমাগম হয়।

শিম সা শু বিহার, হংকং, চীন:

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৪০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই বিহারটি পর্যটকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। এখানে পৃথিবীর বিখ্যাত অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমল রয়েছে। জ্যাকি চ্যানের মতো হলিউডের এ শহরের এমন অনেক তারকার স্বাক্ষর করা বিভিন্ন দ্রব্যাদি এখানে কিনতে পাওয়া যায়। বছরে প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ এখানে ভ্রমণ করে।

গোল্ডেন গেট পার্ক, সানফ্রান্সিসকো, ইউএসএ:

ক্রমবর্ধমাণ সানফ্রান্সিসকোবাসীর নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা করে দিতে ১৮৭০ সালে এক হাজার জমির ওপর এই পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বছরে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পর্যটকের সমাগম হয় এখানে। হোপস এন্ড ফেয়ারের তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে এটি।

নটরডেম ক্যাথেড্রাল, ফ্রান্স:

ফ্রান্সের প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রাল পর্যটক সমাগমের দিক থেকে আইফেল টাওয়ারকেও ছাড়িয়ে গেছে। হোপস এন্ড ফেয়ারের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা এই ধর্মীয় গীর্জাটি দেখতে প্রতিবছর প্রায় ১৩.৭ মিলিয়ন লোকের সমাগম হয় এখানে। এছাড়াও ল্যুভর মিউজিয়াম, আইফেল টাওয়ার এর বদৌলতে প্যারিসে বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক সমাগম হয়।

টোকিও ডিজনিল্যান্ড:

তালিকার পঞ্চমস্থানে রয়েছে টোকিও ডিজনিল্যান্ড। টোকিও ডিজনিল্যান্ড আমেরিকার বাইরে স্থাপন করা প্রথম ডিজনিল্যান্ড। এখানে বছরে প্রায় দেড় কোটি লোকের সমাগম হয়।

গ্রান্ডবাজার, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

গ্রান্ডবাজার ইস্তাম্বুলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ১৪৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরনো এই বাজারের চার হাজার দোকান প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মস্থল। তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই বাজারটিতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন লোক সারাবছর আনাগোনা করে।

ফরবিডেন সিটি, বেইজিং, চীন:

১০ মিটার উঁচু দেওয়াল দিয়ে ঘেরা এই প্রাচীন শহওে প্রায় ২৪জন সম্রাটের বসবাস ছিল। ১৪২০ সালে প্রতিষ্ঠিত পরিত্যাক্ত এই শহর তালিকার তিন নাম্বার স্থানে রয়েছে। এখানে বছরে প্রায় ১৫.৩ মিলিয়ন পর্যটক সমাগম হয়।

টাইমস স্কোয়ার, নিউইয়র্ক:

হোপস এন্ড ফেয়ার তাদের নিজ শহরে থাকা টাইমস স্কোয়ারকে তালিকার দুই নম্বরে রেখেছে। ব্যাস্ত নিউইয়র্কের এই স্কোয়ারে বছরে তিন কোটি ৯৭ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়। ১৯০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভেগাস স্ট্রিপ, লাস ভেগাস:

আমেরিকার লাস ভেগাসের ভেগাস স্ট্রিপ রয়েছে তালিকার এক নম্বরে। প্রায় তিন মাইল বিস্তৃত এই স্ট্রিপে রয়েছে অসংখ্য হোটেল, ক্যাসিনো, বিনোদন কেন্দ্র। জুয়াড়িদের কাছে এই জায়গাটি তীর্থভূমির মতো। এখানেও বছরে প্রায় তিন কোটি ৯৭ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/পিএম/একে

উপরে