দেশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে: হাসিনা
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের একদিন বাদে সোমবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে মানবতা বিরোধী মামলা বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধীদের ‘অপরাধের সীমা নাই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নারী, শিশু থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। “আমি মনে করি, এই রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে যারা ৭১ সালে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন, অন্তত তাদের মনটা শান্তি পাবে।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারে ২০১৩ সালে আব্দুল কাদের মোল্লা, ২০১৪ সালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের পর সাবেক দুই মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি আমরা সম্পন্ন করতে না পারি, এ দেশ অভিশাপমুক্ত হবে না। কাজেই এ বিচার ও রায় কার্যকরা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে দীর্ঘদিন অভিশপ্ত হয়ে ছিল। সেই অভিশাপ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পাচ্ছে,” বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরঙ্গনাদের কথা স্মরণ করেন। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার কথাও বলেন, যার নকশাকার ছিলেন মুজাহিদ।
শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে।”
যুদ্ধাপরাধের বিচারে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত আব্দুল আলিমের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আলিমকে জিয়া মন্ত্রী করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে বিদেশেও তৎপরতা চালানো শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন জিয়া।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে। ট্রাইব্যুনাল থেকে এ পর্যন্ত ২১টি রায় এসেছে, যার মধ্যে চলতি বছর এসেছে ছয়টি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদেরও সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিচারের নামে প্রহসন করা হয়। দিনের পর দিন এভাব মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়।”
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসনের জন্য জিয়ার পাশাপাশি নিজের বিশেষ দূতের মর্যাদায় থাকা সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদকেও দায়ী করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/আরিফ