টরন্টোতে কলিম শরাফীকে স্মরণ করলো প্রবাসীরা
কানাডার প্রবাসী একটি সংগঠন প্রখ্যাত শিল্পী কলিম শরাফীকে নিয়ে স্মরণ সভা করেছে।
কিংবদন্তীর শিল্পী কলিম শরাফী তাঁর অসাধারন প্রতিভায় কিংবদন্তীর শিল্পী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সেই সব ছাপিয়ে উঠেছিলো তার সংগ্রামী এবং মানবতাবাদী বৈশিষ্টগুলো।
রোববার টরন্টোর ড্যানফোর্থে কিংবদন্তীর এই শিল্পী ৫ম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক অনুষ্ঠানে বক্তারা এইভাবে চিত্রিত করেন শিল্পী কলিম শরাফীকে।
হলভর্তি দর্শক-শ্রোতা মুগ্ধ হয়ে শোনেন কিংবদন্তির এক শিল্পীর সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান।
তার পঞ্চম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে টরন্টোর প্রাচী সংগীত একাডেমি ডেনফোর্থের মিজান কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এক স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনটি প্রদীপ জ্বালিয়ে এই স্মরণসভার সূচনা করা হয়। শহীদ খন্দকার টুকু, আলেয়া শরাফী ও ফারহানা আজিম শিউলী আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহ্ন লাগে, তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে গানটির প্রথম কয়েক লাইন গেয়ে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।
তারপর শিল্পী কলিম শরাফীর বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামময় জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে তার শিল্পীজীবন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণমুখী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ইতিবৃত্ত তুলে ধরা হয়।
শিল্পী কলিম শরাফীর কর্মময় জীবনের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিলাদ্রি চাকি এবং মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল মালিক।
কবি আসাদ চৌধুরী নির্ধারিত আলোচক হলেও তিনি শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি কবিতা পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে শিল্পী কলিম শরাফীর গাওয়া ‘পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়’ এর সঙ্গে শিল্পী এবং দর্শক শ্রোতারা সমবেতকণ্ঠে গান গেতে গেতে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়। রেকর্ডারে শিল্পীর গাওয়া গানটি বাজানো হলেও মনে হচ্ছিলো যেন স্বয়ং শিল্পী কলিম শরাফীর সঙ্গেই গলা মিলাচ্ছেন সমবেত দর্শক শ্রোতা।
বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/একে