আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১০:২৯

বুদ্ধিজীবী দিবসে ‘কলঙ্কমুক্ত’ বাঙ্গালীর শ্রদ্ধা

বিডিটাইমস ডেস্ক
 বুদ্ধিজীবী দিবসে ‘কলঙ্কমুক্ত’ বাঙ্গালীর শ্রদ্ধা

এবারের বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য জাতির কাছে একেবারেই ভিন্ন। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী এদেশিয় দালালদের অন্যতম প্রধান মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ায় আছে কলঙ্ক মোচনের তৃপ্তি। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই খুনিকে ফিরিয়ে না আনতে পারার অতৃপ্তিও তাড়া করছে জাতিকে।

সোমবার সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাতি। প্রতিবারের মতো এবারও নানা কর্মসূচিতে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সকাল ৮টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত পরাজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখনই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাঙালী জাতির মেধাবী সন্তান ... বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। 

স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে ওই নারকীয় হত্যাকান্ড চালায় নরপশুরা।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে যা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু অপেক্ষায় কেটে গেছে ৪৪ বছর। অবশেষে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

 

ফাঁসির রায় আসে বিদেশে পলাতক আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মঈনুদ্দিনের। কিন্তু রায় কার্যকর করা যায়নি। তাদেরই অন্যতম সহযোগী আল বদর কমান্ডার আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয় গত মাসে। স্বান্ত্বনা মেলে মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭১-এর ২৯ ডিসেম্বর গঠিত বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ওই কূট পরিকল্পনা সফল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

 

বিডিটাইমস৩৬৫/এনএইচ/এসআর/একে

উপরে