আপডেট : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:৪৫

গনমাধ্যমই ভরসা বিএনপির; অভিযোগের আঙুল সরকারের দিকে

অনলাইন ডেস্ক
গনমাধ্যমই ভরসা বিএনপির; অভিযোগের আঙুল সরকারের দিকে

নিজেদেরকে ‘নির্যাতিত বিরোধীদল’ অভিহিত করে গণমাধ্যমকে শেষ ভরষা হিসেবে দেখছে বিএনপি।

নির্ধারিত সময়ের পর ‘প্রার্থী বদল’ এবং মনোনয়নপত্রে প্রত্যয়নের মাধ্যমে সরকারপ্রধান নিজেই পৌর ভোটে অনিয়ম এবং বিধিভঙ্গের ‘সূচনা করেছেন’ বলেও অভিযোগ তুলেছে দলটি।

পৌর নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে বুধবার গুলশানে বিএনপির  কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আভিযোগ করেন।

ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে নির্বাচন কমিশনের ‘কারণ দর্শাও নোটিস’ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, “আমরা সবচেয়ে নির্যাতিত বিরোধী দল। আমরা গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরতে পারি, আমাদের তো অন্য কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।”

সরকারপ্রধানকে উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, “এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া যে কত কঠিন তার প্রমাণ আমরা দেখছি। যিনি সরকার প্রধান, দলীয় প্রধান, তার হাত দিয়েই অনিয়ম, বিধিভঙ্গের সূচনা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে পৌর নির্বাচন যে কতোটা সুষ্ঠু হবে অথবা হবে না- তার প্রাথমিক আলামত আমরা পাচ্ছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, শরীয়তপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রথমে রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে গত ৭ ডিসেম্বর ফারুক আহমেদকে মনোনয়ন দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

“ওই মনোনয়নপত্রে প্রত্যয়ন করছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী। তিনি কে? তিনি হচ্ছেন চিফ এক্সিকিউটিভ, সরকার প্রধান। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এই বিধির পরিপন্থি।”

এক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ফখরুল বলেন, “সংশ্লিষ্ট রির্টানিং অফিসার বলেছেন, প্রার্থী বদলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে তারা জানিয়েছেন। অর্থাৎ রির্টানিং অফিসার উভয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন।

“যেখানে আইনে পরিষ্কার বলা আছে, রির্টানিং অফিসারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেখানে তা না করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে। তাহলে নির্বাচন কতোটা নিরপেক্ষ হতে পারে, তা সহজেই বোঝা যায়।”

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল জানান, সরকার নয়, তাদের মূল অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

“পৌর বিধিতে আছে, ওটা রির্টানিং অফিসারেরই বাতিল করার কথা। ৭ তারিখে তারা প্রার্থী পরিবর্তনের চিঠি গ্রহণ করেন কেন? এটা নির্বাচন কমিশনারকে কীভাবে পাঠানো হল?”

অনেক পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রার্থী দেওয়ারও পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থীদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে ভয়ভীতি দেখানো ও হামলার অভিযোগ তোলেন তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে নির্বাচন কমিশনের ‘কারণ দর্শাও নোটিস’ সম্পর্কে ফখরুল বলেন, “শো-কজ করাটা মানে ব্যবস্থা নেওয়া নয়। একটা অ্যাকশন নিতে হবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এআর/একে

উপরে