জুলহাজ-তনয় হত্যাকাণ্ড; পাঁচজনকে চিহ্নিত করার দাবি গোয়েন্দা পুলিশের

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্তত পাঁচজনকে চিহ্নিত করার দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। খুনিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) স্লিপার সেলের সদস্য। এর আগেও এরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক অবস্থা থেকে বের হয়ে পরিকল্পনা করেই কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটায়। গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য জানায়। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
যে পথ দিয়ে খুনিরা পালিয়েছে সেখানকার ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই সব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, তদন্তে ইতিমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত আলামত তদন্তে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এ পর্যায়ে হত্যার মোটিভ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ঘৃণ্য চক্রের এসব দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। একাধিক গোয়েন্দা টিম এ নিয়ে কাজ করছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত সোমবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় জুলহাজ ও তাঁর বন্ধুকে হত্যার পরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে তিনটি ভিডিও ফুটেজসহ অন্তত দশটি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়। পরবর্তী সময়ে সেই সব আলামত পর্যালোচনা করে হত্যার মোটিভ সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে।
আলোচিত এ হত্যার ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার শুরুতে অনেকগুলো কারণ সামনে রেখে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়। তদন্তে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত কোনো কারণে জুলহাজ ও তাঁর বন্ধুকে খুন করা হতে পারে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, জুলহাজের কলাবাগানের ওই বাসাটি তলা লাগিয়ে রাখা হয়েছে। বাসার সামনে পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগের সদস্যরা পাহারায় রয়েছেন। ওই এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও রয়েছেন। এলাকাবাসী বলছেন, এভাবে দুজন মানুষকে বাসায় ঢুকে হত্যা করা হলো। আবার হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় একজন পুুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে যখম করার পাশাপাশি আরো এক কলেজ ছাত্রকে মারধর করে। ওই বাসার নিরাপত্তারক্ষী পারভেজ মোল্লাকে কোপায় তারা। তাদের তাত্ক্ষণিকভাবে ধরার সুযোগ পেয়েও ধরা গেল না।