চাপের মুখে জাহাঙ্গীরনগরে প্রকাশ্য চুমু’র আয়োজকরা; অঙ্গীকারে অটল থাকার প্রত্যয়

গত ৮ ফেব্রুয়ারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে সকল ধরণের অনাচারের প্রতিবাদ স্বরূপ ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে বিডিটাইমস-এ সংবাদ প্রকাশিত হলে, ক্যাম্পাসের বাইরের ও ভেতরের অনেকেই ইভেন্টটিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য করে। তবে এসব মন্তব্যের বেশিরভাগই ছিলো নেতিবাচক। এমন নেতিবাচকতা ও বিভিন্ন হুমকিতে দমে না গিয়ে আয়োজকরা প্রকাশ্যে চুমু অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আবারও।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে পেজ’র এক পোস্টে তারা বলে-
“পরিবর্তন এক দিনে হয় না। এর জন্য প্রয়োজন লড়াই। আশা করি সকল প্রতিকূলতার দেয়াল ভেঙে এগিয়ে যাবে যুগলরা।
১৪ তারিখ ভালোবাসার শক্তিতে দুমড়ে মুচড়ে যাবে সমাজের সকল অন্ধত্ব, প্রতিক্রিয়াশীলতা, কুসংষ্কার, রাষ্ট্রীয় হিংস্রতা এবং সূচনা হবে এক নতুন ইতিহাসের।”
এছাড়াও রাফি ইসলাম নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও অনুষ্ঠানের সমর্থক এক পোস্টে লেখেন,
“যদি সেই দিন একজনও প্রকাশ্যে চুমু না খায়, তারপরও, আমার মতে, এই ইভেন্ট এর উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। যা এখানকার পোস্ট ও কমেন্ট এর মাধ্যমে বোঝা যায়।
এই ‘মানুষ গুলোর’ যদি কোন বিশেষ জায়গায় খোঁচা না লাগতো, এমন পোস্ট-কমেন্ট আসতো না।
তারপরও আমি এই ‘মানুষ গুলোকে’ স্বাগতম জানাবো যে তাঁরা এসব নিয়ে কথা বলছে (তা যেমন কথাই হোক)। যেখানে আমাদের তথাকথিত ‘ভদ্র’ সমাজ এসব ব্যপার সবসময় উপেক্ষা করে যায়।”
বর্তমান ছাত্রদের এমন উদ্যোগ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্ররা কি ভাবছে? আসছে শীঘ্রই..
ইভেন্ট সংক্রান্ত আলোচিত প্রতিবেদনটি পড়ুন-