আরবের বর্বরোচিত ‘ধর্ষণ-খেলা’! জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইউরোপে

খেলাটির মূল লক্ষ্য দল বেঁধে নারীর শ্লীলতাহানি অথবা ধর্ষণ করা। আরব দুনিয়ার গন্ডি পেরিয়ে ক্রমে ইউরোপে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রস্তরযুগীয় খেলা ‘তাহারুশ জামা-ই’ বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় ‘ধর্ষণ খেলা’।
মিশর-সহ আরব জগতের একাধিক দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলাটির প্রচলিত নাম গণধর্ষণ খেলা। ভিড়ের আড়ালে কোনও নারীর শ্লীলতাহানি এমনকি ধর্ষণ করাই এ খেলার উদ্দেশ্য। অতি প্রাচীন এই খেলা ক্রমে ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলোতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আরব দেশগুলোতে এর বলি হয়েছেন কয়েক হাজার নারী।
সাধারণত ভীড় না থাকলে এই খেলা জমে না। সভা-সমাবেশ-প্রতিবাদ মঞ্চ, জনসমাগম হলেই শুরু হয় এই নারকীয় খেলা। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ২০১৫ সালেই প্রথম এ খেলার কথা জানতে পারে পাশ্চাত্য মিডিয়া।
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক গদিচ্যুত হওয়ার পর মিশরের তাহরির স্কয়ারে বিদ্রোহী বাহিনীর বিজয়ানুষ্ঠান কভার করতে গিয়ে প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে নিগৃহীত হন সিবিএস চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক লারা লোগান। জনতার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন তিনি। পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, মারধর করার পর তার প্রায় নগ্ন অবস্থার ছবিও তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী এসে তাকে উদ্ধার করে।
বিশ্বের আর কোনও খেলার সঙ্গে তাহারুশের নিয়মাবলী মিলে না। এই খেলায় নারীদেহের স্বাদ পূর্ণ মাত্রায় ভোগ করতে পারে ভিড়ের কেন্দ্রস্থলে থাকা পুরুষরা। পরিকল্পনা মাফিক শিকারকে ঘিরে একের ভিতরে আরেক, এই পদ্ধতিতে পর পর ৩টি বৃত্ত তৈরি করে ফেলা হয়। একেবারে বাইরের বৃত্তে থাকা খেলোয়াড়দের কাজ হল বাইরের লোকজনকে ঠেকিয়ে রাখা। মাঝের বৃত্তের লক্ষ্য থাকে কেন্দ্রীয় বৃত্তে থাকা সদস্যদের ওপর নিরন্তর চাপ দেওয়া। একেবারে ভিতরের বৃত্তে থাকা খেলোয়াড়রা ভিড়বন্দি নারীর শরীর নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে থাকে। এর মধ্যে অবশ্য ১-২ জন পুরুষ নিগৃহীতার ‘রক্ষকে’র ভূমিকায় থাকেন। তারা আক্রমণকারীদের হাত থেকে ওই মহিলাকে বাঁচানোর অভিনয় করেন।
জানা গেছে, তাহারুশের শিকার জাতি-ধর্ম-বয়স-গোষ্ঠী নির্বিশেষে নারী। উদ্বেগের বিষয়, গত নিউইয়ার্স ইভে এই খেলার খবর মিলেছে জার্মানিতেও। কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ের মাঝে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন কোনও নারী। আসলে তা তাহারুশেরই ফল। শুধু তাই নয়, অস্ট্রিয়া, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড থেকেও এমন অভিযোগ এসেছে।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এসএম