উৎপাদন কমাবে না ইরান; ধস নামতে পারে আন্তর্জাতিক তেল বাজারে!

তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোর জোট ওপেক তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে আরেক দফা ধস নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত রবিবার (১৮এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় ওপেকের এক বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে কোনো মতৈক্যে পৌঁছাতে ব্যার্থ হয় ওপেকভুক্ত দেশগুলো। এরপরই বিশ্ববাজারে ফের তেলের দাম কমতে শুরু করে।
তবে গত কয়েক দিনে তেলের দাম একটু বেড়ে এখন গত মাসের মধ্যে ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও তা হবে ক্ষণস্থায়ী। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার উড বলেন, প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ২০ ডলারের নীচে নেমে আসতে পারে।
শুক্রবার (২২এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে প্রতি ব্যারেল অশোধিত তেলের দাম ছিল ৪৪.৪৫ ডলার।
তেলের উৎপাদন নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব এবং তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান। তেলের দাম কমায় সৌদি অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগলেও ইরান বলছে, তারা তেলের উৎপাদন কমাবে না, বরং বাড়াবে।
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই দোহা বৈঠকে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি ওপেকভুক্ত দেশগুলো।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করলেও বাংলাদেশে এখনো দাম কমানো হয়নি।
সম্প্রতি ফার্নেস অয়েলের দাম কমানো হলেও তা মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে ডিজেল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ রয়েছে। অচিরেই বাংলাদেশের বাজারেও তেলের দাম কমতে পারে। ইতোমধ্যে তেলের দাম কমানোর একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে জ্বালানী মন্ত্রণালয় থেকে।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জিএম