কানাডায় স্কুলে ঢুকে গুলি; নিহত চার

২২ জানুয়ারি শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে কানাডার সাস্কেটন শহরের ৬০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত লা লচে শহরের একটি কমিউনিটি স্কুলে কানাডার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এমনই খবর জানিয়েছে বিবিসি।
ঘটনার পরপরই শোক জানিয়েছেন কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে থাকা ট্রুডো এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘প্রত্যেক অভিভাবকের জন্য একটি ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে অভিহিত করেন।
ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও দাবি করেন তিনি।
শক্তিশালী ‘বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন’ এর জন্য কানাডাতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্দুক হামলার ঘটনা দেখা যায় না। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বন্দুকধারীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছিল। এর আগে ১৯৮৯ সালে মন্ট্রিলের ইকোল পলিটেকনিক স্কুলে একইরকম হামলায় ১৪জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
লা লচে শহরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র কেভিন জেনভিয়ার কানাডিয়ান প্রেসকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের ঘরে শুরু হওয়া কোনো বিবাদের প্রতিক্রিয়ায় এ বন্দুক হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
“কী ঘটেছে সে সম্বন্ধে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। কিন্তু এটা শুরু হয়েছিল ঘরে আর এর শেষ হয় স্কুলে।”
লা লচে কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষার্থী নোয়েল দেজার্লেইস কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (সিবিসি) ঘটনার সময় কয়েকদফা গুলির শব্দের কথা বলেন।
“আমি দৌড়ে বের হয়ে আসি। এর আগেই আমি ৬-৭টা গুলির শব্দ শুনি। অনেকেই তখন চিৎকার করছিল। আমার বিশ্বাস, এরপরও আরও কয়েকদফা গুলি হয়েছে।”
ওই স্কুলে মোট ৯শ’ শিক্ষার্থী আছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সিবিসি’তে প্রচারিত এক টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের বরফে আচ্ছাদিত মাঠের দিক দৌড় দিচ্ছে। একই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও স্কুলে প্রবেশ করছে। শহরের একজন বাসিন্দা মোবাইল ক্যামেরায় ওই ভিডিও ধারণ করে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।