আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:০৭

আইনি মারপেচেঁ পার পেয়ে গেল দিল্লির দুর্ধর্ষ ধর্ষক

অনলাইন ডেস্ক
আইনি মারপেচেঁ পার পেয়ে গেল দিল্লির দুর্ধর্ষ ধর্ষক

ধর্ষণের সময় ‘নাবালক’ হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেল দিল্লির আলোচিত কিশোর ধর্ষক।

দেশের আইনে ‘নাবালকদের’ বিচারের বিধান না থাকায় রোববার তার পক্ষেই রায় দিয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্য দিয়ে ভেস্তে গেল দিল্লি নারী কমিশনের গত কয়েকদিন ও আগের রাতের রুদ্ধশ্বাস তৎপরতা।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও জি নিউজের খবরে জানানো হয়, সারা দেশ জুড়েই আন্দোলন অব্যাহত ছিলো ওই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে। শুনানি চলাকালীণ সময়ে নির্ভয়ার বাবা-মাও অবস্থান ধর্মঘট করেন দিল্লির যন্তরমন্তরে। আইনি বাধা থাকায় এসব কোনকিছুই আমলে নিতে পারেনি আদালত।

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, শুনানির আগের দিনই নিরাপত্তার কারণে কিশোরহোম থেকে গোপন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় ওই কিশোর ধর্ষককে। সেসময় হোমের বাইরে অবস্থানরত নির্ভয়ার বাবা-মাকে মৌরিস নগর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। একঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বহুদিনের আইনি লড়াইয়ে ওই ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারায় শেষ মুহুর্তে নির্ভয়াকাণ্ডে নাবালক অপরাধীর মুক্তি ঠেকাতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় দিল্লির মহিলা কমিশন। মামলাটি বিচারাধীন, তাই অপরাধীকে এখনই যেন মুক্তি দেওয়া না হয়- এ মর্মে মাঝরাতে সুপ্রিমকোর্টের রেজিষ্টারের বাড়িতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন কমিশনের সদস্যরা।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের সঙ্গেও দেখা করেন তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের কোন তৎপরতাই কাজে আসেনি।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ভারতে দিল্লির চলন্ত একটি বাসে ছয় জন মিলে ধর্ষণ করেছিলো প্যারামেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়াকে। পরে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শরীরের ভেতর থেকে ছিঁড়ে বের করে এনেছিলো ছয়জন ধর্ষকের মধ্যে সবচেয়ে নাবালক সদস্যটি।

জন্মনিবন্ধনপত্র আর বিদ্যালয়ের কাগজপত্রে তখন তার বয়স ছিল সতেরো বছর ছমাস। আর সেই সুবাদে এই ধর্ষণ-কাণ্ডের ঘৃণ্যতম অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও ছাড়া পেল নির্ভয়ার সেই ‘নাবালক’ ধর্ষক।

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/পিএম/একে

উপরে