আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৫ ১৩:৪৬

তিউনিসিয়ায় বাসে বোমা হামলা, নিহত ১২

অনলাইন ডেস্ক
তিউনিসিয়ায় বাসে বোমা হামলা, নিহত ১২
তিউনিসে প্রেসিডেন্টের রক্ষীদের বহনকারী বাস উড়িয়ে দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: রয়টার্স

 

তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের সেনা বহনকারী একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে অন্ততপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী তিউনিসে মোহামেদ ভি অ্যাভিনিউয়ের এ ঘটনা ঘটে।

এই বিস্ফোরণ আত্মঘাতী হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

বোমা বিস্ফোরণের পর রাজধানীতে সান্ধ্য আইন জারি করে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়িদ এসেবসি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংবাদটি জানিয়েছে।

বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ঘটনাস্থল ঘিরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অন্ততপক্ষে ১২ জন রক্ষী নিহত ও আরো ১৭ জন আহত হয়েছেন।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়,  প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যাওয়ার উদ্দেশে শহরতলী থেকে রক্ষীদের বাসে তোলা হচ্ছিল, তখনই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসটি উড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসেম ত্রিফি বলেন, “মোহামেদ ভি সড়কে আমিও ছিলাম। আমি আমার গাড়িতে উঠতে যাবো, তখনই বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটল। তাকিয়ে দেখলাম বাসটি উড়ে গেল। চারদিক লাশ আর রক্তে একাকার হয়ে গেল।”

প্রেসিডেন্ট এসেবসি তার ইউরোপ সফর বাতিল করে রাজধানীতে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারির ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

চলতি বছর তিউনিসিয়ায় এটি তৃতীয় বড় ধরনের হামলা। আগের দুটি হামলায় দেশটির পর্যটন শিল্পকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।

মার্চে রাজধানীর বার্দো জাদুঘরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণে ২১ জন নিহত হন।

এরপর জুনে দেশটির ভূমধ্যসাগরীয় এক অবকাশ কেন্দ্রের সাগরতটের একটি হোটেলে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে আরো ৩৮ পর্যটক নিহত হন। 

ওই দুটি হামলার দায়ই ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করেছে।

এছাড়া আলজেরীয় সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় সক্রিয়া আরেকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার সেনা তল্লাশি চৌকিগুলোতে ও টহলদলগুলোকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন সময় জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/একে

উপরে