
সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের কথার প্রতিক্রিয়া আমি জানাই না। কারণ দুইটা: এক, আমি রাজনৈতিক ভাষ্যকার না। দুই, তাঁরা প্রতিদিনই প্রচুর লুজ টক করেন। ফলে সব কথার উত্তর দিতে গেলে অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে শুধু এই চাকরিই করতে হবে। কিন্তু কখনো কখনো কিছু কথা বলতেই হয়।
মুক্তিযুদ্ধে কত জন শহীদ হয়েছেন এই বিষয়ে যেকোন একাডেমিক গবেষণাকে আমি স্বাগত জানাই। একাডেমিক ইন্টারেস্ট থেকে যে কেউ এটা করতে পারেন। শহীদের সংখ্যা কমে তিন লাখ হলে আমাদের ত্যাগের মাহাত্ম এক তিলও কমবে না, বৃদ্ধি পেয়ে চার মিলিয়ন হলেও মাহাত্ম বাড়বে না।
সত্য এটাই থাকবে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশকে শ্মশান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো এবং বাঙালি বীরের মতো রুখে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে! সত্য এই থাকবে, বাঙালীর রক্তে বাংলাদেশ লাল হয়েছে বটে, কিন্তু পরাধীন থাকে নাই।
যখন একজন সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী এবং একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তখন আমি একটু হতবুদ্ধি হয়ে যাই। আমি বোঝার চেষ্টা করছি কি কারণে উনি এই কথা বলে থাকতে পারেন।
উনি কি এটা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে যতটা বলা হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ততটা আমাদের মারে নাই? এই প্রমাণের দায় কি উনার? নাকি এটা প্রমাণ করতে চাইলেন যে স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যাচার করেছে ?
সেই ক্ষেত্রে তিরিশ লাখ না হয়ে তিন লাখ হলে কি বর্বরতা কমে যাবে ?
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে সুবিধা মতো ব্যবহার করছে, বিরোধী দল এই অভিযোগ প্রায়ই করে।
কৌতুহলী এবং কিছুটা রাজনীতি আগ্রহী মন জানবার চায়, এই রকম মন্তব্য করলে আওয়ামী লীগের কি আর নিজে থেকে কিছু করা লাগে?
সূত্র: ফেইসবুক স্ট্যাটাস