পিআইএর ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফ্ট গিলগিট বাসিন্দাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ | BD Times365 পিআইএর ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফ্ট গিলগিট বাসিন্দাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ | BdTimes365
logo
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৬:১২
পিআইএর ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফ্ট গিলগিট বাসিন্দাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ
অনলাইন ডেস্ক

পিআইএর  ত্রুটিপূর্ণ এয়ারক্রাফ্ট  গিলগিট বাসিন্দাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ

২০ জুলাই গিলগিট বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছিটকে পড়া পিআইএ ATR-42 বিমান। ছবি: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

পাকিস্তান অধিকৃত গিলগিট বাল্টিস্তানের প্রতি সবসময়ই বৈসম্যমুলক আচরণ করে আসছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে ওই অঞ্চলের জনগণের দুর্দশার যেন শেষ নেই। অর্থনৈতিক চরম মন্দায় যখন দেশটি হিমশিম খাচ্ছে তখন গিলগিটের জনগন কম দামে আটা কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে। বিদ্যুত নেই। খাবার নেই এবং বেকারত্ব বাড়ছে অঞ্চলটিতে। এরকম যখন অবস্থা তখন রাস্ট্রিয় বিমান চলচল কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলটিতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ফ্লাইটগুলো ত্রুটিপূর্ণ বিমান ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ পত্র ডন-এর।

গিলগিটেরে জনগন দীর্ঘকাল ধরে বিমান পরিসেবা ও  দুর্যোগ-প্রবণ বিমানের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছে। জানা গেছে এসব কারণে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গিলগিটের যাত্রীদের।  অভিযোগ পিআইএর পুরাতন বিমানগুলো প্রায়-ই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে গ্রাউন্ডেড থাকে যা বিমানবন্দরগুলিতে স্বাভাবিক বিলম্বকে দীর্ঘায়িত করে। এছাড়াও গত কয়েক বছরে অন্তত দুটি বিমান পাহাড়ী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি করেছে।

ডন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জুলাই, ২০২৯ তারিখে গিলগিট বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পিআইএর একটি এটিআর বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। পরে সেটি মেরামত করতে ১০ দশমিক দুই মিলিয়ন রুপি ক্ষতি হয়।  ২০২২ সালের অডিট রিপোর্টে পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল পিআইএকে দায়ী করেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে গিলগিটের প্রধান বিচারপতি শামীম খান স্বপ্রণদিত হয়ে  পিআইএ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করেছিলেন। অফিসাররা আদালতকে জানান যে প্লেনগুলি ২০০৬ সালে কেনা হয়েছিল এবং তাদের ফ্লাইট চক্রের অর্ধেকই শেষ হয়ে গিয়েছে এই সময়েল মধ্যে। আদালত এ বিষয়ে চরম অসন্তুষ্টি  প্রকাশ করে।

গিলগিট এবং স্কার্ডু থেকে পরিচালিত পিআইএ ফ্লাইটের বিরুদ্ধে যাত্রীদের বেশ বেশ ক্ষোভ রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ বিমানের ব্যবহার ছাড়াও পিআইএ এসব অঞ্চলের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাচ্ছ বলে অভিযোগ রয়েছে যা এয়ারলাইন দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবার সময়, দূরত্ব এবং মানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। কখনও কখনও করাচি থেকে দুবাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ভাড়া ছাড়িয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পিআইএ স্কারদু থেকে করাচি সরাসরি বিমান পরিচালনার কথা বলে আসলেও বাস্তবে সোজা ফ্লাইটের পরিবর্তে, ইসলামাবাদে ট্রানজিট দিয়ে অন্য বিমানে করে করাচী যাত্রী আনা নেওয়া করে থাকে। যে কারণে যাত্রীদের গন্তব্যে পেঁছাতে অনেক লম্বা সময় লেগে যায়।