উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ঘন ঘন লোডশেডিং, বেকারত্ব এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো সমস্যার কারণে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ তাদের সীমাহীন দুর্দশার জন্য ক্ষুব্ধ। স্থানীয় সরকার এবং ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ বাড়ছে। সম্প্রতি, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত বিল, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং আরও অনেক সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশায় মুজাফফরাবাদ রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন পেশাজীবি নারীরা। মুজাফফরবাদের কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভে একদল আইনজীবী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।
সমাবেশে উপস্থিত একজন মহিলা আইনজীবী বলেন, “আমরা এখন দুই মাস ধরে বর্ধিত বিদ্যুতের বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আমরা প্রতিনিয়ত লোডশেডিং সমস্যায় ভুগছি। এছাড়াও যে বিদ্যুতের বিল আগে চারশ থেকে পাঁচশ রুপি হতো, আজ তা বেড়ে হয়েছে চার হাজার থেকে দশ হাজার রুপি।” তিনি আরও বলেন, “এটি ছাড়াও, অনুরোধ ও সুপারিশের পরেও সাধারণ মানুষের পক্ষে কমদামে এক ব্যাগ আটা জোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ আটার দামও ব্যাগপ্রতি আঠারোশ রুপি থেকে বাড়িয়ে পঁয়ত্রিশ শো রুপি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয়রা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি সরকার সেদিকে কোন মনোযোগ দিচ্ছে না।
আরেক নারী আন্দোলনকারী বলেন, “কেন নিম্ন আয়ের মানুষ লাখ লাখ টাকা দিচ্ছে, আর উচ্চ আয়ের লোকেরা কিছুই দিচ্ছে না কেন? এটা কিভাবে ন্যায়সঙ্গত? কেন আমাদের এই বিষয়গুলি সহ্য করতে হবে? আমরাও তাদের মতো মানুষ, দয়া করে আমাদের এ থেকে মুক্তি দিন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট বালতিস্তানে সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ বাড়ছে। এ কারণে ঘন ঘন বিক্ষোভের সাক্ষী হয়ে আসছে ওই অঞ্চলটি। সেখানকার জনগন ইসলামাবাদকে তাদের সম্পদ শোষণ, ভারী কর আরোপ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মতো তাদের অভিযোগের প্রতি কোন মনোযোগ না দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে আসছে বহিুদিন ধরে। এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পাকিস্তানের জোরপূর্বক দখলদারিত্বের বিরোধিতা করছে এবং স্বাধীনতার দাবি করছে।