বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুটিং প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা আইনি কাঠামোর আওতায় আসছে। এ ছাড়াও অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে ব্যাংক ঋণ, কর রেয়াত, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৃত্তি দেওয়া ইত্যাদি প্রবর্তন ও সহজ করার ব্যবস্থা করার বিধান রাখা হয়েছে। এমন বিধান যুক্ত করে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) বিল ২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের সংজ্ঞায় ‘সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধির অর্থ হচ্ছে— এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত কোনও ব্যক্তি, যিনি কোনও রিক্রুটিং এজেন্টের সাব এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য এই এজেন্টের চাহিদা অনুযায়ী অভিবাসী কর্মী সংগ্রহ করেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ‘বিলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো জবাবদিহি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থার অতিরিক্ত হিসেবে অপরাধ সংঘটনের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্যূন ৫০ হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। তদন্ত ও শুনানি ব্যতিরেকে অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় রিক্রুটিং লাইসেন্সের কার্যক্রম স্থগিতকরণের বিধান করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের রিক্রুট প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর জবাবদিহির আওতায় আনার লক্ষ্যে সাব-এজেন্ট বা প্রতিনিধি নিয়োগ এবং সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্বের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।’