পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই: সিইসি | BD Times365 পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই: সিইসি | BdTimes365
logo
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:১৪
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই: সিইসি
বিডিটাইমস ডেস্ক

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই: সিইসি

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে জানিয়ে পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

ভোটের প্রচারণায় বিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ উঠেছে, তাও ঠিক নয় বলেও জানান সিইসি।

তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া আচরণ বিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার চলছে।”

২৩৪ পৌরসভায় ভোটের ১০ দিন আগে শনিবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা।

রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উদ্বেগ-আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।”

সেনা মোতায়েনের কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিজিবি-র‌্যাব বলেছে, তারা ফোর্স বাড়িয়ে দেবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনা মোতায়েনের কোনো পরিস্থিতি হয়নি।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠক করে ইসি।

সিইসি বলেন, “সন্ত্রাসীদের ধরপাকড়ে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট পর্যন্ত সন্ত্রাসী-অপরাধী ধরপাকড় কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে। এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ থাকবে না।

“জঙ্গি ও সন্ত্রাসের সমস্যা জেনারেল সমস্যা। এটা তেমন সমস্যা হবে না।”

নির্বাচন কমিশনে ইতোমধ্যে বিধি লঙ্ঘনের ৩৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে, তার একটি তদন্তের জন্য রেখে বাকিগুলোর বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কাজী রকিব।

“যে কোনো অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমরাও অ্যাকশন নেব। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফিল্ডে রয়েছেন, তারাই এটা দেখবে। আমাদের প্রতিবেদন দেবে।”

আচরণবিধি লঙ্ঘনে মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “কিছু প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাহী হাকিম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে জেনেছি। তারা আমাদের কাছেও প্রতিবেদন দেবে। অনিয়ম ঘটলে প্রম্পট অ্যাকশন নেবে এখন।”

আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, “ভোট পরিস্থিতি শুনেছি, এখন পর্যালোচনা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করব। ভোটে পূর্ণ শৃঙ্খলা থাকবে।”

ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর কী পরিমাণ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, তা জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে আগে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হলেও আগামীতে না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কাজী রকিব।

সব ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে সিইসি বলেন, “আমরা খুবই আশাবাদী উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।”

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/একে