মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম প্রসঙ্গে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর দিকে সন্দেহের তীর ছুড়লেন পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
ব্যাক্তিগত সফরে ভারতে আসা ইমরানের কাছে ভারতের একটি সংবাদসংস্থা জানতে চেয়েছিল, দাউদ ঠিক কোথায়?
পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা পিটিআই প্রধানের জবাব, ‘‘আমি সরকারে নেই। সুতরাং দাউদের হদিস জানি না।
“তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের দল পাকিস্তানের যে অঞ্চলে শাসন করে, সেই খাইবার পাখতুনখোয়ায় উনি নেই। দাউদ সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে তা শরিফ সরকারকে করা উচিত।’’
তবে ইমরানের বক্তব্য প্রসঙ্গে পাক সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, “প্রতিপক্ষ শরিফের উদ্দেশ্যে ইমরানের এই খোঁচা ভারতের পক্ষেও তাৎপর্যপূর্ণ। খাইবার পাখতুনখোয়ায় দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও মাফিয়া প্রধান যে পাকিস্তানে নেই, এমন কথাও ইমরান বলেননি।
মাফিয়া ডন দাউদ পাকিস্তানে আছে এমন অভিযোগ পাক সরকার বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।
গত অক্টোবরেও ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনার আব্দুল বসিত দাবি করেছিলেন, দাউদ পাকিস্তানে নেই। এমন কী, ভারত সরকারও তাঁর গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত নয়।
এর আগে গত আগস্টে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ইসলামাবাদের হাতে দাউদ সংক্রান্ত নথি তুলে দেবেন বলায় পাকিস্তানের সরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিল, দাউদ সে দেশে নেই।
গত আগস্টেই ভারতের একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল দাউদের পাসপোর্ট, তাঁর করাচির বাড়ির টেলিফোন বিলের প্রতিলিপি। সেই টেলিফোনের বিল ছিল দাউদের স্ত্রী মেহজাবিন শেখের নামে।
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক করাচির সেই ঠিকানায় ফোন করে মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবিও করেন।
এর পরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ‘দাউদ স্থায়ীভাবে পাকিস্তানেই থাকেন’ দাবি করলেও তিনি সুকৌশলে সে দাবিকে হালকা করতে তিনি বলেন, “কিন্তু এ ধরনের লোকেরা বেশিদিন এক ঠিকানায় থাকেন না।’’
পাকিস্তানে দাউদের একাধিক ঠিকানার হদিস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভারতের গোয়েন্দারা। বছর দুয়েক আগে করাচিতে বিলাবল ভুট্টোর বাড়ির কাছেও দাউদ সম্পত্তি কিনেছেন বলে জানিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
এই পরিস্থিতিতে ভারতে এসে ইমরানের এমন মন্তব্য ইসলামাবাদকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এআর/একে