নিরাশ নাফিসার মাশরাফিতেই স্বস্তি | BD Times365 নিরাশ নাফিসার মাশরাফিতেই স্বস্তি | BdTimes365
logo
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৯:০২
নিরাশ নাফিসার মাশরাফিতেই স্বস্তি
স্পোর্টস ডেস্ক

নিরাশ নাফিসার মাশরাফিতেই স্বস্তি

শুরু থেকেই কুমিল্লার জয়ে অবদান রাখছেন ইমরুল কায়েস ও আজহার জাইদি। ১২ ডিসেম্বরের সেমিফাইনালেও কুমিল্লার হাল ধরেছেন দুই তারকা ক্রিকেটার। রংপুরের বিপক্ষে মাত্র ৩৩ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মারে ইমরুলের হাফসেঞ্চুরি নজর কাড়ে সবার। জাইদি অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে।

দুপুর দুইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল সেমি-ফাইনালের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৭২ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বিনিময়ে এবারের বিপিএলে ফাইনালের টিকেট পেল ম্যাশ বাহিনী।

শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামেন রংপুর। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা ১৬৩ রান সংগ্রহ করে। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১০৭ রানে পেরেরা বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে যান। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কার মারে করেন ৬৭ রান।

ইমরুল আউট হওয়ার পর একই ওভারের শেষ দুই বলে আন্দ্রে রাসেল ও আহমেদ শেহজাদের উইকেটও নেন পেরেরা। এতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগে তার। ব্যক্তিগত শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেট শিকার করে সেই হ্যাটট্রিক অবশ্য পূর্ণ করতে পারেননি এই লঙ্কান বোলার। তবে পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে হঠাৎই চাপ সৃষ্টি হয় কুমিল্লা শিবিরে। আজহার জাইদি ব্যাটে ঝড় তোলেন।  মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কার মারে  ৪০ রান করে অপরাজিত থেকে কুমিল্লার চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে মূল ভুমিকা রাখেন।

কুমিল্লার ইনিংসে ওপেনিংয়ে লিটন-ইমরুল জুটি ৭৯ রান করেন। এরপর লিটন আউট হলেও কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা চমক দিয়েই নামেন ব্যাটিংয়ে। তবে সুবিধা করতে পারেননি। এক রান করেই আউট হয়ে ফিরে গেছেন সাজঘরে। কুমিল্লার অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটন ৩৭ বলে ২৮ ও শুভাগত হোম পাঁচ বলে করেন ১২ রান।

রংপুরের হয়ে পেরেরা ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট পান সজীব ও নবী। উইকেট শূন্য থাকেন স্যামি, সানি, সাকিব, আল আমিন।

১৬৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুর। উড়িয়ে দিতে কুমিল্লার হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন আসহার জাইদি এবং আবু হায়দার রনি। দুই ওপেনার আসেন লিন্ডল সিমন্স এবং সৌম্য সরকার শুরুটা বেশ ভলোই করে। ওপেনিং জুটি থেকে এ দুই ব্যাটসম্যান তুলে নেন ৩৬ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন তাঁরা। জোড়া আঘাত হানা আবু হায়দার রনির ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্য আর চতুর্থ বলে সিমন্স ফেরেন। শুভাগতের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে সৌম্য ৮ বলে ৯ রান করেন। সিমন্স রনির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২০ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৫ রান করেন।

দলীয় ৩৬ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৯ রান যোগ হতেই ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন এবং রংপুরের দলপতি সাকিব। দলীয় অষ্টম ওভারে এবারে জোড়া আঘাত হানেন আসহার জাইদি। সে ওভারের চতুর্থ বলে মিঠুন (৫) স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। পরের বলেই সাকিবকে মাহমুদুল হাসানের হাতে ধরা দিতে বাধ্য করেন জাইদি। রংপুর দলপতি নিজের প্রথম বলেই বিদায় নেন (০)। তার বিদায়ে দলীয় ৪৫ রানেই রংপুর হারায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে।

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে রংপুর ৩৯ রান তুললেও ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৯ রান।

রংপুরের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। দলীয় ৬২ রানের মাথায় আফগানদের সেরা তারকা নবীকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি। শুভাগতের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে একটি করে চার ও ছক্কায় ১১ বলে ১২ রান আসে। দশম ওভারে নবী ফিরলে পরের ওভারের প্রথম বলেই রংপুরের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল ইসলাম (৯)। জাইদির তৃতীয় শিকারে আবু হায়দার ক্যাচ নিয়ে সহায়তা করেন।

শেষ ৮ ওভারে রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১০০ রান, হাতে ছিল ৪টি উইকেট। ৭ ওভার বাকি থাকতে তা কমে আসে মাত্র দুই রান। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে আন্দ্রে রাসেল বোল্ড করেন আল আমিনকে (৩)। ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরা (১১) বোল্ড হন আবু হায়দার রনির বলে। শেষ ৫ ওভারে রংপুরের দরকার হয় ৮১ রান। ১৬তম ওভারে জাইদির বলে বোল্ড হন ৬ রান করা ড্যারেন স্যামি।

কুমিল্লার হয়ে জাইদি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান খরচায় তুলে নেন ৪টি উইকেট। ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে আরও ৪টি উইকেট দখল করেন আবু হায়দার। এছাড়া, মাশরাফি ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পান আন্দ্রে রাসেল। শুভাগত আর কুলাসেকারা উইকেট শূন্য থাকেন।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জামা