বলিউডি অভিনেত্রী জিয়া খানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রহস্যের জাল আরও ঘনীভূত হয়ে উঠছে। জিয়া খানের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা! এমন দ্বন্দ্বে জল তো আর কম ঘোলা হল না। এবার সে রহস্যেই নতুন মোড় আসছে।
বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। সম্প্রতি ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) মুম্বাই হাইকোর্টের বিশেষ একটি ব্রাঞ্চে স্থানান্তর করেছে মামলাটি।
হত্যা না আত্মহত্যা এই রহস্য উদঘাটনে মুম্বাই পুলিশকে নতুন করে নির্দেশনাও দিয়েছেন মুম্বাই হাইকোর্ট।
সিবিআই মুখপাত্র কাঞ্চন প্রাসাদ ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআইকে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেটা তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটাকে যদি খুন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয় তাহলে আরও প্রমাণের প্রয়োজন হবে। এটা খুঁজে বের করতে হবে যে, এই অপরাধের পরিকল্পনাকারী কে?”
এর আগে ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি এ মামলায় চার্জশিট দেয় মুম্বাই পুলিশ।
২০১৩ সালের ৩ জুন মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজ বাসা থেকে জিয়া খানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কয়েকদিন পর প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে দায়ী করে জিয়ার লেখা সুইসাইড নোট খুঁজে পান তার বোন। পরে সেটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন জিয়ার মা রাবেয়া আমিন।
রাবেয়া আমিনের দাবি, তার মেয়ের মৃত্যুর পেছনে বলিউডি অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরাজ পাঞ্চলির ‘বড় হাত’ রয়েছে।
মায়ের এই অভিযোগকে আমলে নিয়ে জিয়ার মৃত্যুর দুদিন পর জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে সুরজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তবে জিয়ার মা রাবেয়ার দাবি, জিয়া খান আত্মহত্যা করেননি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এখন দেখার পালা, নতুন করে আবার ফেঁসে যান কি না আদিত্য তনয়।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/ জেডএইচ/ জেএস/