১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জে মুক্ত দিবস | BD Times365 ১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জে মুক্ত দিবস | BdTimes365
logo
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৬:২১
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জে মুক্ত দিবস
আমিনুল ইসলাম, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া প্রতিনিধি

১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জে মুক্ত দিবস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ১১ ই ডিসেম্বর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে আশুগঞ্জকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।

৯ডিসেম্বর আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে পাকবাহিনীর সাথে ব্যাপক যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনীর সাথে। এ সময় মুক্তিবাহিনীর প্রায় ৩ শতাধিক সেনা সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। এসময় পাকবাহিনীর প্রায় শতাধিক লোক মারা যায়।

১০ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী বেঙ্গল রেজিমেন্ট সাড়া রাত ব্যাপী প্রস্তুতি নিয়ে ভোর বেলায় আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রেষ্ট হাউজে অবস্থান করে ব্যাপক যুদ্ধ হলে পাকবাহিনী রাতে আশুগঞ্জ থেকে পাশ্ববর্তী ভৈরবে পালিয়ে যায়। আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার সময় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। পরে ১১ডিসেম্বর সকালে বিনা বাধায় আশুগঞ্জ বাজার এলাকা দখল করে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা। এতে আশুগঞ্জ শুত্রু মুক্ত হয় ।

ঐ সময় যুদ্ধে নেতৃত্ব সুসংগঠিত করতে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন লেঃ কর্ণেল কে এম সফিউল্লাহ, লেঃ কর্ণেল মোর্শেদ, মেজর নাসির, ক্যাপ্টেন মোঃ নাসিম, ক্যাপ্টেন মতিনসহ আরো অনেকে। আশুগঞ্জকে মুক্ত করতে গিয়ে পাক হানাদারের সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন সুবেদার সিরাজুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আব্দুল হাই ও সিপাহী কপিল উদ্দিন প্রমুখ।

পাকবাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে এনে সাইলোর কাছে, মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর কাছে, ধানের আড়তের মাঠে, মাছ বাজারে, রেল ষ্টেশরে কাছে আশুগঞ্জের ৫টি স্পটে নির্মমভাবে নিরীহ লোকদের ধরে এনে পাখিরমত গুলি করে হত্যা করে। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর ও আশুগঞ্জের রেল ষ্টেশনের কাছে সম্মুখযুদ্ধের কাছে একটি স্মৃতি স্তম্ভ ছাড়া ৪টি স্পটে কোন স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে উঠেনি।

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী আশুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র‌্যালীর আয়োজন করেছে।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/আই/জামা