কোকেনকাণ্ডের অভিযোগপত্র ফিরিয়ে দিলো আদালত | BD Times365 কোকেনকাণ্ডের অভিযোগপত্র ফিরিয়ে দিলো আদালত | BdTimes365
logo
আপডেট : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:২৪
কোকেনকাণ্ডের অভিযোগপত্র ফিরিয়ে দিলো আদালত
অনলাইন ডেস্ক

কোকেনকাণ্ডের অভিযোগপত্র ফিরিয়ে দিলো আদালত

ভোজ্য তেল বলে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় মাদক আইনে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে ‘ত্রুটি’ কথা জানিয়ে তা গ্রহণ করেনি আদালত।

চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম রহমত আলী সোমবার অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে র‌্যাবের মাধ্যমে মামলাটির নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান সাংবাদিকদের জানান, আসামি মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছেন।

এদিকে অভিযোগপত্রে নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

“এ কারণে ‘তদন্তে ত্রুটি আছে’ উল্লেখ করে আদালত র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

গত ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭ ড্রাম থেকে নমুনা নেওয়া হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোনো অস্বাভাবিকতা না মিললেও ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।

গত ১৯ নভেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান।

আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মো. মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদ এবং যুক্তরাজ্যের দুই নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।

এদের মধ্যে ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক এবং সাইফুল ইসলাম উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে আছেন।

খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।  পুলিশের অভিযোগপত্রে মোট ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়।

বিডিটাইমস ৩৬৫ ডটকম/একে