থাইল্যান্ডে বাংলা লোকজ গল্পপাঠ | BD Times365 থাইল্যান্ডে বাংলা লোকজ গল্পপাঠ | BdTimes365
logo
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:২২
থাইল্যান্ডে বাংলা লোকজ গল্পপাঠ
জামিল মাহমুদ

থাইল্যান্ডে বাংলা লোকজ গল্পপাঠ

গত ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারী থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তৃতীয় আন্তর্জাতিক গল্পবলা উৎসব ২০১৫। আয়োজক ‘মাহাসারাক্ষাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থাইল্যান্ড। অংশ নেয় মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ভারত, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়াসহ ১৭টি দেশের ৪৫ জন। বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেয় সৈয়দ রাইহানুল ইসলাম এবং নওশীন নুয়েরি ইশা। পড়েন  ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে।

ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা ৬ টা  ছুঁই ছুঁই। প্রতিযোগিতার মঞ্চে সবাই। বাংলাদেশের পরিচয় হাজির হলো সৈয়দ রাইহানুল ইসলাম আর নউশিন। দুজনের উপস্থাপনায় মঞ্চস্থ হলো ‘দি লস্ট ফেইরি’। পরপর মঞ্চে বাংলাদেশের লোকজ গল্পগুলো বলে আর অভিনয় করে মুগ্ধ করা হয় দর্শনার্থীদের। ২৪ তারিখ সকালে রাইহান আর নওশিন মঞ্চে এলো ‘ডালিম কুমার ও কঙ্কাবতী’ নিয়ে। তারপর  ‘হারানো পরীরা’ এবং ‘নাপিত ও ভূত’। পরদিন মঞ্চে উপস্থাপন করা হলো ২ টি গল্প ‘তিনটি সোনালি আপেল’ ও ‘রাখাল ছেলের মৃত্যু’। সাথে ছিলো প্রিয় নাহিদ ম্যাম এর কণ্ঠে  ‘টোনাটুনির গল্প’ উপস্থাপান। এই গল্পের পরিবেশনা শুনে অনেক আনন্দ পেলেন ভিনদেশী বন্ধুরা। সেদিন বিকেলেই হয়ে গেল সমাপ্তির অনুষ্ঠান। ‘বেহুলা-লখিন্দর’ ভিডিও ক্লিপের জন্য ২য় পুরস্কার লাভ করেন ড্যাফোডিল ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদ কায়সার।

সে রাতে ডিনারে ছিল মাশরুম ,মাছ, মিষ্টি আরও নানান প্রকারের থাইল্যান্ডের খাবার। আমরা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া আচার, বাদাম , চানাচুর, চকোলেট খাওয়ালাম বন্ধুদের। তারা আমাদের আন্তরিকতায় বেশ মুগ্ধ হলেন। তারপর ক্যাম্পাসের ফুখাম স্যার আমাদের ড্রাইভ করে ‘রেড মার্কেট’ এ নিয়ে গেলেন । তবে যাওয়ার আগে অভূতপূর্ব এক ঘটনা ঘটে গেল আমাদের সাথে। প্রফেসর ওয়াজ্জুপা দৌড়ে এলেন আমাদের গাড়ির দিকে । আমার আর নউশিনের হাতে তুলে দিলেন ২টা খাম। ১০ হাজার টাকার মত ছিল সেখানে । এই ট্যুরের পুরো খরচ বহন করছিলেন তারা এবং সম্মানী হিসেবে আবার এতগুলো টাকা প্রত্যেক প্রতিযোগী কে দেয়া হল ! সত্যিই নিজেদের খুব বেশিই ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল ।

ঘুড়ে দেখা ব্যঙ্কক
ব্যাঙ্কক যাওয়া হলো ২৬ তারিখ সকালেই। হোটেলে ব্যাগ রেখে বেড়িয়ে পড়া অজানার উদ্দেশে। এখানে সেখানে, ভাসমান মার্কেটে, রেস্তোরাঁয়, জাদুঘরে, রাস্তায়, থিয়েটারে সব জায়গায় ঘুরে এলাম। মাদাম তুসো যাদুঘরে পৃথিবী বিখ্যাত সব মানুষদের সাথে দাঁড়িয়ে নিজেদের বন্দি করা হলো ক্যামেরার ফ্রেমে। আমাদের দেশের টমটমের মত ওদের দেশে আচ্ছে’ টুকটুক’। টুকটুক করে ভ্রমনের কথা কখনো ভোলার নয়। সেই সাথে স্বাদ নেয়া হল অদ্ভুত মজাদার সব খাবারের। অবশেষে যাত্রা শেষ হল। ২৮ তারিখ সকালে দেশে এসে পৌঁছুলাম।

বিডিটাইম৩৬৫ডটকম/জামিল