সিগারেট খেয়েও ফুসফুস পরিষ্কার রাখার ১০ টোটকা

‘আর সিগারেট খাবোনা’ বলে আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়েছেন বেশ কয়েকবার। হয়তো এ কথাটি বলে জীবনে সিগারেট খাওয়া ছাড়বেন আরো অনেকবার।
একেবারেই সিগারেট ছেড়ে দেয়া আপনার জন্য বেশ কঠিনই বটে!
তাই, একটু উল্টো পথে হাঁটা যাক। সিগারেটটা জীবন থেকে যাচ্ছেনা, থাক। সঙ্গে থাকুক একটা সুষ্ঠু খাদ্যাভ্যাসও। যা শরীরে গেলে আপনার ফুসফুসের নিকোটিন করে দেবে সাফ। তবে চলুন খাদ্যশৃঙ্খলটিতে একবার চোখ রাখি-
ব্রকোলি
সবুজ রঙা এই ফুলকপি এখন যে কোনও বাজারেই পাওয়া যায়। আপনি খেয়ে দেখেছেন কখনও? না খেলে এবার শুরু করে দিন। ব্রকোলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৫ আর ভিটামিন সি। ভিটামিন বি সামগ্রিকভাবে শরীর সুস্থ রাখে। পাশাপাশি, ভিটামিন সি শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক রাখে। তার মানে, ব্রকোলি খেলে আখেরে শরীর ফিট থাকবে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হবে। তার মানে, নিকোটিনের খারাপ প্রভাবও কম পড়বে!
কমলা লেবু
কমলা লেবু খেতে নিশ্চয়ই ভালবাসেন! সৌভাগ্যের ব্যাপার, এখন মোটামুটি সারা বছরই বাজারে কমলা লেবু পাওয়া যায়। নিকোটিন শরীরে গেলে ভিটামিন সি কমিয়ে দেয়। সেই ঘাটতিটা পূরণ করবে কমলা লেবুর ভিটামিন সি। ফলে, নিকোটিন থেকে যে ক্লান্তি এবং শারীরিক অস্বস্তি জন্ম নেয়, কমলা লেবুর এক কোয়া কাটিয়ে দেবে সেটাও!
পালং শাক
পপাই নামের নাবিকটির কথা মনে আছে? যে অ্যানিমেশন চরিত্রের অতিমানবিক শক্তির মূল উৎসই ছিল পালং শাক? মনে না থাকলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু, রোজ পালং শাক খাওয়ার কথা ভুলে গেলে ব্যাপারটা ক্ষতির হবে। পালং শাকের মধ্যে থাকে ফলিক অ্যাসিড, যা শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেয়!
আদা
রোজ যদি এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে ফেলতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! আদা শরীর থেকে নিকোটিনজাত টক্সিন বের করে দেয়। পাশাপাশি, নিকোটিন থেকে জন্ম নেওয়া ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
কালো জাম
শরীর থেকে নিকোটিন বের করার ব্যাপারে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি কাজে আসে কালো জাম। পাশাপাশি, কালো জাম রক্তও বাড়ায়! তবে এই ফল সব ঋতুতে পাওয়া যায় না- এই যা!
পাতি লেবু
কমলা লেবুর মতো পাতি লেবুর ভিটামিন সি-ও শরীর থেকে নিকোটিন তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, নিকোটিনের প্রভাবে ম্লান হয়ে যাওয়া ত্বককেও উজ্জ্বল আর সজীব রাখে।
গাজর
নিকোটিন শরীর থেকে ভিটামিন এ আর কে-র পরিমাণ কমিয়ে দেয়। গাজর খেলে সেই ঘাটতি পূরণ হবে আপনার। জিনিসটা খেতে ভালই! খারাপ লাগার কোনও ব্যাপারও নেই!
বেদানা
ধূমপানে রক্তচাপ বাড়ে, তার সঙ্গে রক্ত দূষিতও হয়। এটা যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বেদানা। বেদানা একদিকে যেমন রক্তচাপ ঠিক রাখবে, তেমনই রক্ত তৈরিতেও সাহায্য করবে।
গম
নিকোটিন শরীরের পেশিগুলোকে শক্ত করে তোলে। সেই ব্যাপারটা ঠেকানোর জন্য আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় গমকে ঠাঁই দিন। নয় তো, একটু বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া বাড়ান। গম বা বাদামের ভিটামিন এ আপনার পেশির নমনীয়তা ফিরিয়ে আনবে।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা রক্ত সাফ করে আপনাকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখবে!
তাই বলে, সিগারেট খাওয়াটা বাড়িয়ে দেবেন না যেন। অল্প করেই খান, সঙ্গে থাকুক এই দশ টোটকাও!
সুস্থ থেকে সারা জীবন সিগারেট খেতে পারাটাই কি ভাল নয়?
বিডিটাইমস৩৬৫.কম/মাঝি