পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমাচ্ছে শিল্পায়ন
শিশুজন্মের হার কমার কারণ হিসেবে মেয়েদের বয়সের বাধাকেই বেশিরভাগ সময় সামনে আনে সমাজ। তবে গবেষণায় সমস্য দেখা গেছে পুরুষের ক্ষেত্রেও।
তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে পুরুষের শুক্রানুর ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে শিল্পায়ন। বিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত মাত্রায় শিল্পায়িত দেশগুলিতে পুরুষের শুক্রাণুর দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে।শিল্পপ্রবণ দেশগুলিতে শিশুজন্মের হার কমছে বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়।
কেবল মাত্র আর্থ-সামাজিক সমস্যা আর মেয়েদের বয়স-জনিত সমস্যা নয়। এর পিছনে অবশ্যই রয়েছে পুরুষের প্রজনন-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং অবশ্যই পরিবেশ ঘটিত বিষয়। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং মার্কিন গবেষকরা।
এই বিজ্ঞানীদের মতে, শুক্রাণুর দুর্বলতাই প্রজননকে হ্রাস করে। এই দুর্বলতার পিছনে তাঁরা পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরোন হরমোনের স্বল্পতাকেই দায়ী করেছেন।
তারা আরও বলেছেন, অতিরিক্ত মাত্রায় শিল্পায়িত দেশগুলিতেই এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। পুং প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পিছনে জিন ঘটিত কারণও রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র জিনত্ত্ব দিয়ে এর ব্যাখ্যা সম্ভব নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্রূণাবস্থায় যে সব পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ‘আধুনিক’ মানুষকে, সেই পরীক্ষাগুলিই ভয়াবহ প্রভাব ফেলে তার উপরে। পরবর্তী জীবনে এর কারণেই দেখা দেয় শুক্রদুর্বলতা। এখানে বয়সের ব্যাপারটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
তা হলে কি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটির ‘এথিকস’ মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই স্বপ্নভঙ্গের পৃথিবীর দিকে?
বিডিটাইমস৩৬৫/এইচ জে/একে