আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৩:৩১

বিজয়ের মাসে পাঠশালায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমার আসর

বিনোদন ডেস্ক
বিজয়ের মাসে পাঠশালায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমার আসর

বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা নিয়ে চলচ্চিত্র আড্ডার আয়োজন করছে ফটোগ্রাফি স্কুল পাঠশালার সিনে ক্লাব।

জাহিদুর রহিম অঞ্জনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘মেঘমল্লার’ -এর নানা দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পরিচালকের সঙ্গে তারা মেতে উঠবে ‘চলচ্চিত্রে প্রডাকশন ডিজাইন’ শীর্ষক আলোচনায়।

আগামী সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির দৃক গ্যালারির পাশে পাঠশালা সিনেমা বিভাগ ক্যাম্পাসের আলমগীর কবির ক্লাসরুমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হবে ‘মেঘমল্লার’ সিনেমাটি।

রাত ৮টা ১৫ মিনিটে পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জনের সঙ্গে আড্ডা আর তারপরই শুরু হবে ‘চলচ্চিত্রে প্রডাকশন ডিজাইন’ শীর্ষক আলোচনা।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রবিষয়ক আসরটি সবার জন্য উন্মুক্ত। আসরে নিজের আসন নিশ্চিত করতে নিজের নাম এবং ইমেইল অ‍্যাড্রেস লিখে পাঠাতে হবে ০১৭৮০৩৭৯৩৯৯ নম্বরে। টিকিট মূল‍্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। ইভেন্ট শুরুর আগে ভেন‍্যুতে টিকিট পাওয়া যাবে। পাঠশালা সিনে ক্লাবের নিবন্ধিত সদস‍্যদের জন‍্য কোনো টিকিট লাগবে না।

 

‘মেঘমল্লার’ অত্যন্ত মিনিমাল ধাঁচের মিজোসিন দৃশ্যালেখ্য গাঁথা। কাহিনির বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে সততা ও মনোযোগ দুই-ই পরিচালকের কৃতিত্বের সাক্ষ্য বহন করেছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারায় সাম্প্রতিককালের শ্রেষ্ঠতম সংযোজন - জাহিদুর রহিম অঞ্জনের এই ‘মেঘমল্লার’।

চলচ্চিত্রটির প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বর্ষার টানা তিন দিনের কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘মেঘমল্লার’ চলচ্চিত্রের বিয়োগান্তক আখ্যান।

বাংলাদেশের একটি মফস্বল শহরের সরকারি কলেজের রসায়নের শিক্ষক নূরুল হুদা গল্পের মূল চরিত্র। স্ত্রী আসমা ও পাঁচ বছরের মেয়ে সুধাকে নিয়ে তার সুখ-দুঃখের মধ্যবিত্ত সংসার। তাদের সঙ্গে থাকে আসমার ছোট ভাই মিন্টু।

কাউকে কিছু না বলে মিন্টু একদিন মুক্তিযুদ্ধে চলে যায়; কিন্তু নূরুল হুদাকে ফেলে যায় জীবন-মৃত্যুর সংকটের মধ্যে। তার পরও নূরুল হুদা নিয়মিত কলেজে যান, পাকিস্তানপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেন। মধ্যবিত্তের শঙ্কা, ভয়, পিছুটান তাকে অসহায় করে তোলে।

ঘোর বর্ষণের এক রাতে মুক্তিযোদ্ধারা কলেজে এবং পাশের আর্মি ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। কোনো কারণ ছাড়াই পাকিস্তানি আর্মি নূরুল হুদা এবং তার বন্ধু আবদুস সাত্তারকে ধরে নিয়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে যাওয়ার সময় আসমা তাকে মিন্টুর একটা ফেলে যাওয়া রেইনকোট পরিয়ে দেয়।

পাকিস্তানি আর্মির সামনে নূরুল হুদা প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তিনি একজন শিক্ষক মাত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্রব নেই; কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

‘মেঘমল্লার’ সিনেমাটির সংগীত গল্পের মেজাজে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণের কাজ করেছেন ‘মাটির ময়নার’ সিনেমাটোগ্রাফার সুধীর পালসানে। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অভিজিত বসু এবং শব্দমিশ্রণ করেছেন অলোক দে। এ ছাড়া সঙ্গীতে অংশ নিয়েছেন পণ্ডিত তুষার দত্ত ও আইভি ব্যানর্জী। অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, অপর্ণা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/জেএস/একে

উপরে