চট্টগ্রামে সোনা লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন রেলওয়ে পুলিশের হাবিলদার

চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য সেজে স্বর্ণের দোকানের কর্মচারিদের কাছ থেকে ২০৫ ভরি সোনা লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পূর্বাঞ্চলের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পাহাড়তলী স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইউসুফের আদালতে হাজির করে এই রিমান্ডের আবেদন করে রেলওয়ে পুলিশ। সোমবার রাতে মেজবাহ উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরপরই রেলওয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার রিমাণ্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রেলওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হিমাংশু দাশ জানান, নগর গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে নগরীর হাজারী গলির ঝুমুর মার্কেটের বিশ্বকর্মা বুলিয়ন দোকানের কর্মী পলাশ নন্দী ও বিশ্বজিতের কাছ থেকে ২০৫ ভরি সোনা লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার প্রধান আসামি মেজবাহ উদ্দিন। অন্য দুজন অজ্ঞাত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বুলিয়ন জুয়েলার্সের কর্মী পলাশ নন্দী ও বিশ্বজিত ২০৫ ভরি গলানো সোনা নিয়ে সোমবার সকালে ট্রেনে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশনে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে পলাশ ও বিশ্বজিতকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত হাবিলদার মো. মেজবাহ উদ্দিনের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে পলাশ ও বিশ্বজিতের শরীর তল্লাশী করে ২০৫ ভরি সোনা লুট করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন জুয়েলার্স মালিক বিধান ধর। ঘটনাটি রেলওয়ে পুলিশের আওতায় হওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ থেকে বিষয়টি দেখার জন্য রেলওয়ে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়।
এরপর মেজবাহ উদ্দিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে রেলওয়ে পুলিশ। তবে তিনি এখোনো এ বিষয়ে মুখ খোলেন নি। এরই মধ্যে সোমবার রাতে পলাশ নন্দী বাদী হয়ে মেজবাহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে এবং অপর দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।