১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট, নেপথ্য শক্তি কারা?

এবার জাতীয় শোক দিবসে এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার একজন বিচারক হিসাবে মামলার নথিপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনেক রাঘব-বোয়াল জড়িত। কিন্তু তদন্তের ত্রুটি থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে এটি খতিয়ে বিচারে সোপর্দ করা যায়।’ এর দু’দিন পর আরেকটি শোক সভার আলোচনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বলেছেন, ইতিহাসের উপাদান হিসাবে অন্তত রাখতে সরকার তদন্ত কমিশন গঠনের চিন্তা করছে। এই তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে জড়িত ও ষড়যন্ত্র উন্মোচন করবে।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম বর্বোরচিত হত্যাকাণ্ড ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বাঙালি জাতির ইতিহাসের ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার পরিজনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা। জীবনের ২৩ টি বছর জাতির এই মহান নেতা অধিকার হারা বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আরাম-আয়েশ হারাম জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন। জেল, জুলুম, হুলিয়া, ফাঁসির মঞ্চ কোনো কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এমন তেজ্বসী, দূরদর্শী ও সৎ সাহসী রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব এই বঙ্গে কখনো ঘটেনি।
একদিকে ছাত্র সংগঠন আরেকদিকে গণ সংগঠনের জন্ম, বিকাশ ও শক্তিশালীকরণের মধ্য দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের সিঁড়িপথে একটি ঘুমন্ত জাতিকে তিনি জাগিয়েছিলেন। স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা, ব্যালট বিপ্লবে গণরায় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে ৯ মাস বন্দি থেকেছেন। পৃথিবী থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। ইয়াহিয়া খানের সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। তার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছে। তবুও তিনি তার দেশ, মাটি, মানুষ ও স্বাধীনতাকে ভালোবেসেছিলেন।
ব্যক্তিত্বে, উচ্চতায়, কণ্ঠের গর্জনে, উঁচু তর্জনীতে আর রাজনৈতিক সংগ্রামের সফলতাই তিনি একটি জাতিকে গৌরবের মহিমায় মহিমান্বিত করেননি, মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে তিনি তার স্বাধীনতার প্রশ্নের, দেশের মাটি ও মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ভুলণ্ঠিত করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তিনি ছিলেন দৃঢ় ও আপোষহীন। এমন নেতার আবির্ভাব সহস্র বছরে একটি জাতির জীবনে ঘটে কিনা, জানা নেই। পাকিস্তানের শাসকরা পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। বিশ্ব মোড়লরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবেছে। তবুও আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি।
কিন্তু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পিতার মমতায় আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে উদভ্রান্তের মতো তিনি ধীরে ধীরে নতুন করে তৈরি করেছিলেন। অবকাঠামোসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে যখন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির তৈরি দুর্ভিক্ষ থেকে বের করে এনেছিলেন, ঠিক তখন পরিবার পরিজনসহ তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
সেই অভিশপ্ত রজনীর হত্যাযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছিলেন এদেশেরই সন্তানগণ। যারা সেনাবাহিনীর বিপথগামী সৈনিক হিসাবে ইতিহাসে কলংকিত হয়েছেন। এই হত্যাকারী খুনি চক্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক, ক্ষমতালোভী, মীরজাফর খ্যাত খন্দকার মোশতাক আহমেদই জড়িত ছিলেন না; তিন বাহিনীর প্রধানসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ ও মুজিব বিদ্বেষী উগ্র, হটকারী, অতিবিপ্লবীরা লাল সন্ত্রাস ছড়িয়েছিলেন দেশজুড়ে। সরকারি দলের একটি অংশ ক্ষমতার দ্বম্ভে উন্মাসিক আচরণ করেছিলেন। সেই রজনীতে যে মহান নেতা বিশ্বাস করতেন কোনো বাঙালি তার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারে না, সেখানে ঘাতকেরা রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। সফেদ পাঞ্জাবি, চেক লুঙ্গি, হাতে চিরচেনা পাইপ, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা বুলেটের আঘাতে ছিটকে পরেছে।
ইতিহাসের মহানায়ক ধানমন্ডির বাড়ির সিঁড়িতে মুখ থুবড়ে পরেছেন। তার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, হাতের মেহেদী মুছে না যাওয়া তাদের নববধুগণ, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম সংগ্রামের চিরসাথী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ছোট শেখ নাসের থেকে শুরু করে গৃহকর্মীরাও রেহাই পাননি। একই সঙ্গে মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনিকে তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী আরজু মনিসহ সবাইকে বুলেটে জাঁঝড়া করে দিয়েছে। ভগ্নিপতি আব্দুর রউফ সেহিনিয়াবাতের বাসভবনে ওরা চালিয়েছে হত্যাকাণ্ড।
একদল বেপোরোয়া ঘাতকচক্র রক্তের নেশায় উন্মাদই হয়নি, একজন মহান নেতাকে তার পরিবার পরিজনসহ হত্যা করেনি, একটি জাতির স্বপ্ন ও নেতৃত্বকে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে জেগে উঠা আদর্শকে হত্যা করেছে। সেই ঘাতকচক্র একটি জাতির মহান নেতার লাশ ৩২ নম্বরে ফেলে রেখে বঙ্গভবনে সরকার গঠনের উল্লাস করেছে। রক্তের ওপর দিয়ে যে মোশতাক রোজ বঙ্গবন্ধুর জন্য খাবার নিয়ে আসতেন, বঙ্গবন্ধুর পিতার মৃত্যুতে তার কান্না থামাতে জাতির জনককে স্বন্তনা দিতে হয়েছে; আরেক চাটুকার তাহের উদ্দিন ঠাকুর যে বঙ্গবন্ধুর খাবার প্লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরও টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে দিতেন, তারা তখন খুনিদের প্রহরায় ক্ষমতাগ্রহণের লোভের ফণা তুলে গোটা দেশকে বিষবাষ্পে স্তব্ধ করে দিয়েছেন।
নেতার লাশ ৩২ নম্বরে পরে থেকেছে অনাদর, অবহেলায়। রক্তের বন্যা বইছে জাতির ঐক্যের মিলিত মোহনায়। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর বিশস্ত সহচররা কেউ কাপুষের মতো, কেউ ক্ষমতার লোভে অবৈধ মোশতাক সরকারের শপথ নিচ্ছেন। খুনিচক্র সেদিন দৃশ্যমান হলেও অন্ধকারে থেকে গেলে তার নেপথ্য শক্তি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই হত্যাকাণ্ড, এই ষড়যন্ত্র সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করতে যারা ভুমিকা রেখেছিলেন তা অজানাই থেকে গেল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি বা বিশ্বমোড়লরা যারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ ৭৫ এ নিল মহাপ্রলয় ঘটিয়ে। খুনিরা সেদিন মৃত মুজিবকেও ভয় করেছে। ঢাকায় দাফন করতে সাহস পায়নি। কঠোর খুনিদের প্রহরায় টুুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে অস্ত্রের মুখে তারাহুড়ো করে দাফন করেছে। ঈমামের চাপে লাশের গোসল ও ছোটখাটো জানাযা পড়েছে।
একটি জাতির ইতিহাসের সূর্যোদয়কে সূর্যান্তে নিয়ে গেলেন একদল সেনাবাহিনীর বিপথগামী তরুণ অফিসার। আর ঊর্ধ্বতন তিন বাহিনীর প্রধানরা বেতার ভবন থেকে বঙ্গভবনে আনুগত্যই প্রকাশ করলেন, খুনিদের সমীহ করলেন, নাকি প্রশয় দিলেন; সেই সত্য আজো উদঘাটিত হয়নি। যে দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিল, সেই দল, তাদের নেতা ও জাতির পিতৃহত্যার প্রতিরোধের ডাক কেন দিলেন না, সেটিও ইতিহাসে অমিমাংসিত। এত বড় সংগঠিত অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের দিকটি বিচারে উন্মোচিত হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না, এমন সংবিধান ও মানবতা বিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশই জারি করে রাখা হয়নি, প্রতিটি শাসক খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতাই দেয়নি, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তাদেরকেও রাজনীতিতে পুনঃবাসিত করেছেন।
সেই রাতে দেশের বাইরে থাকায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার একজন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অভিষিক্ত হওয়ায় দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর দলকে ক্ষমতায় এনে ইনডেমনিটির কালো দাগ মুছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করেছেন। খুনিদের ফাঁসি হয়েছে। এখনো কিছু খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে। এদের ফিরিয়ে আনা এবং তাদের প্রাপ্য শাস্তি বুঝিয়ে দেয়াই সময়ের দাবি নয়, যে হত্যাকাণ্ড এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বন্ধাত্যই তৈরি করেনি, গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল; সেই মুজিব হত্যার নেপথ্যে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, কোন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ষড়যন্ত্রের নীল নকশা রচনা করেছিল, সেটি জাতি জানতে চায়।
এই উপমহাদেশে রাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যায়, ভারতে মহাত্না গান্ধীর পর ঘাতকের বুলেটে ভারতের গণতন্ত্রের মহান নেত্রী শ্রমীতি ইন্দিরা গান্ধীই জীবন দেননি, তারপুত্র প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও আত্নঘাতি বোমা হামলায় জীবন দিয়েছেন। অন্যদিকে, সামরিক শাসকের জিয়াউল হকের ফাঁসিতে ঝুলে জুলফিকার আলী ভুট্টোই জীবন দেননি, তার কন্যা অক্সফোর্ড শিক্ষিত সেই দেশের গণতন্ত্রের নেত্রী বেনজীর ভুট্টোও নির্বাচনী প্রচারণায় ঘাতকের গুলিতে জীবন দিয়েছেন।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাউকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। সেই প্রতিশোধের ধারায় মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার ওপর বারবার আক্রমণ পরিচালিত হয়েছে। মৃত্যুর ফাঁদ পাতা হয়েছে। একুশ বারের বেশি এ পর্যন্ত তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এর মধ্যে সবচে বর্বোরচিত কায়দায় ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী র্যালীপূর্ব সমাবেশে বক্তৃাকালে প্রকাশ্য দিবালোকে যে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে, এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অতীতে কখনো এমনটি ঘটেনি। সেই বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ দলের নেতাদের উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। একুশের গ্রেনেড হামলার মুখে দেহরক্ষীর জীবন নিভে গেলেও অলৌকিকভাবে ফের শেখ হাসিনা বেঁচে যান।
গণতান্ত্রিক দুনিয়াকে সেই দিনদুপুরে গ্রেনেড হামলা প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছিল। নিন্দার ঝড় উঠেছিল। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছিলেন। সেই সময় গোটা দেশ ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আরেকদফা স্তম্ভিত হয়েছিল। স্তব্ধ হয়ে দেশের মানুষ দেখেছে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড আর ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা কতটা একই সূত্রে গাঁথা। সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ রক্তে ভেসেছিল। দলের নেত্রী আইভী রহমান সহ ২২ জন স্পট ডেথ হয়েছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ৫ শতাধিক। এখনো অনেক ঘরে আর্তনাদ, এখনো অনেকের শরীরে অমাবস্যার রাতে স্লিন্টারের বিষের বেদনা।
সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তার ক্ষমতার পার্টনার ছিল জামায়াতে ইসলামী। পরদিন মন্ত্রীরা কি ঘটে যায়, এই ভয়ে সচিবালয়ে যাননি। গোটা দেশ বিচারের দাবিতে ঝড় তুলেছিল। গণতদন্ত কমিশন হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার দায় এড়াতে পারে না জেনেও নেতারা একদিকে প্রলাপ বকেছেন, অন্যদিকে বিচারের নামে মানুষ হাসিয়ে নির্লজ্জের মতো জজ মিয়া নামের প্রহসনের নাটক সাজিয়েছেন।
একুশের গ্রেনেড হামলা শুধু শেখ হাসিনা হত্যার ষড়যন্ত্রই ছিল না, একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তিকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অন্ধকার শক্তির দিন দুপুরে আনা আঘাত ছিল। এই আঘাত ছিল একটি সমঝোতা ও আস্থার গণতান্ত্রিক রাজনীতির তৈরি হওয়া আবহকে শেষ করে দেয়ার আঘাত।
সাড়ে ৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এখনো বিচারের রায় জনগণ দেখেনি। এখনো সেই গ্রেনেড হামলার ও নেপথ্য শক্তিদের মুখোশ বা চেহারা বিচারের পথে জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়নি। কারা ছিল ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের রাঘববোয়াল, কারা ছিল একুশের গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্রের খল নায়ক?
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জিএম