আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:০৩

পাটশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
পাটশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ পাটশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ।

তিনি বলেন, ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সপ্তম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি আইসিটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ, চামড়া ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের জন্য যেসব খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য অন্যতম।’

 রোববার রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রপ্তানি অফিসকে এ আইন বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার কারখানা, চিনিকল ও রিফাইনারি কোম্পানি, চাল-আটা কলসহ সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে পাটজাত পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাটের ব্যবহার বাড়লে দেশের কৃষক বেশি করে পাট উৎপাদনে উৎসাহিত হবে, দেশ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। বিগত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছে। দেশের বড় বড় পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, দেশের পাটসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব খাতের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আইনটির প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৩০ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী সড়ক, মহাসড়ক, চাল উৎপাদনকারী এলাকাসহ ঢাকার প্রবেশমুখ এবং সমগ্র দেশে স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন, নৌ পরিবহন, সড়ক পরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ব্যারেব সহযোগিতায় এক সাথে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং পাট ও পাটজাত পণ্য ব্যবহার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/ রোকনুজ্জামান রনি 

উপরে