আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:৫৩

ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছিল মাদার তেরেসার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছিল মাদার তেরেসার

ঐশ্বরিক ক্ষমতার স্বীকৃতি হিসেবে ভ্যাটিকান সিটি সেইন্ট উপাধী দেয়। ক্যাথলিক গির্জাগুলি বিশ্বাস করে, কর্মসূত্রে কেউই সেইন্ট বা সন্ত হতে পারেন না। জন্মের আগে ঈশ্বরই ঠিক করে দেন, কে সন্ত হবেন আর কে নয়। যাঁরা সন্ত হন তাঁরা আসলে ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিয়েই জন্মান। পৃথিবীতে তাঁরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে আসেন। পোপের কাছ থেকে অন্তত দুটি আলৌকিক ক্ষমতার স্বীকৃতি মিললে মৃত্যুর পর সন্ত উপাধি পাওয়া যায়। সম্প্রতি এই বিরল সম্মানে ভূষিত হতে যাচ্ছেন মাদার তেরেসা। ৯৯৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম সন্ত উপাধী পান বিশপ আলরিত অফ আলসবার্গ। তাঁকে স্বীকৃতি দেন পোপ পঞ্চদশ জন।

ভ্যাটিকান জানিয়েছে, মাদার তেরেসার সেইন্টহুড পাওয়ার পথে শেষ বাধাটিও অতিক্রান্ত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কলকাতায় অবস্থিত মাদার হাউসে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভ্যাটিকান আরো জানায়, সেইন্টহুড পাওয়ার জন্য যে দ্বিতীয় আশ্চর্যজনক ঘটনাটির দরকার ছিল, তা এখন সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে। ঘটনাটি এরকম যে, ব্রাজিলের এক ব্যক্তির মাথায় একাধিক টিউমার হয়েছিল, তিনি আশ্চর্যজনকভাবে সেরে উঠেছেন। তাঁর এই সেরে ওঠাকে মাদার তেরেসার আশীর্বাদ বলে নিশ্চিত হয়েছে কতৃপক্ষ।

কয়েকদিন আগে বিশেষজ্ঞদের একটি দল ‘কজেস অফ দা সেইন্টস’র বৈঠক বসে ভ্যাটিকান সিটিতে। তাঁরা ওই অতি আশ্চর্য ঘটনাটিকে বিশ্লেষণ করার পরে পোপ ফ্রান্সিসের কাছে জানান যে মাদার তেরেসাকে সেইন্টহুড দেওয়া যেতে পারে। এর আগে ২০০২ সালে ভ্যাটিকান মেনে নিয়েছিল যে মাদার তেরেসার আশীর্বাদের ফলে ১৯৯৮ সালে মনিকা বেসরা নামের এক নারীর পেটের ক্যান্সার সেরে গিয়েছিলো।

মাদার তেরেসার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুনীতা কুমার জানান “সেইন্টহুড পেতে বহু বছর এমন কি কয়েক শতকও পার হয়ে যায়। কিন্তু মাদার তেরেসা এমনই একজন মহাপ্রাণ ব্যক্তিত্ব, যিনি মৃত্যুর মাত্র ১৮ বছরের মধ্যেই সেইন্টহুড পেতে চলেছেন।”

মাদার তেরেসার জন্ম ম্যাসেডোনিয়াতে। তাঁর বাবা-মা অ্যালবেনিয়ান ছিলেন। ভারতের কলকাতায় বস্তিবাসী এবং গরীব মানুষদের সাহায্যের জন্য তিনি ১৯৫০ সালে মিশনারীজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান তিনি। ১৯৯৭ সালে কলকাতাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বিডিটাইমস৩৬৫.কম/পিএম

উপরে