ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের চাহিদা এখন কম!

ভারতীয় উপমহাদেশের অভিভাবকদের মধ্যে বিয়ের বাজারে এখন এমবিএ বা সিএ পাশ পাত্রদের কদরই বেশি। কর্পোরেট জগতের এই পাত্রদের সঙ্গে এখন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা আর পেরে উঠছেন না। অথচ কয়েক বছর আগেও পাত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক মহলে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার যোগ্যতা না থাকার কারণে প্রেমিকা হারানোর নজিরও ছিল ভুরি ভুরি।
সম্প্রতি বিয়ের জন্য পাত্র চেয়ে পত্রিকায় ছাপানো এক বিজ্ঞাপনে সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও ডাক্তার পাত্রের খোঁজ চেয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের পাশে লিখে দেওয়া হয়, ‘দয়া করে ফোন করবেন না’।
ভারতের ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট শাদি ডট কমের সিইও গৌরব রাখশিত জানিয়েছেন, মেয়েরা আর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ারদেরকে পাত্র হিসেবে পেতে আর আগ্রহী নয়। গত বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে।
সেটা ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট হোক কিংবা ঘটকালির বাজার সবখানেই ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের চাহিদায় ধস নেমেছে। এই ধস নামার প্রধান একটি কারণ হলো অটোমেশনের হুমকি। রোবট সবকিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দিচ্ছে। এতে ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির বাজার ছোট হয়ে আসছে। তাই হুট করে ছাঁটাইয়ের ভয় তো আছেই।
আর ভারতের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের বড় একটি অংশ এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। কিন্তু শাদি ডট কমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাত্র চাওয়ার হার মাত্র ৭ শতাংশ। ট্রাম্প যুগে বিদেশিদের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা অনেকটাই কমে এসেছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক অভিভাবকই এখন আর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাত্রে আর আগ্রহী নন।