আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:২৫

বয়স্কদের সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করবে অ্যাপ

অনলাইন ডেস্ক
বয়স্কদের সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করবে অ্যাপ

আপনি কী ষাটোর্ধ? পরিবারের সবাই থাকে দূরে দূরে। যতই সাহস দেখিয়ে বলুন আপনি একাই একশো, ভয়টা থেকেই যায়!

গভীর রাতে শরীর খারাপ হলে কে দেখবে?

হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরেও শান্তি নেই! দেখভাল করতে যাকে রেখেছেন তার কাজে মোটেও সন্তুষ্ট নয়। আবার কাউকে না রেখেও শান্তি নেই। মনের ভিতর কেমন যানি একটা খুঁতখুতানি থেকেই যায়। হয়ত ঠিক সময় ওষুধ খেতেই ভুলে গেলেন।

এখন থেকে চিন্তা ছাড়ুন। কারণ মুশকিল আসান হিসেবে হাজির নতুন একটি স্মার্টফোন অ্যাপ- এমনটাই দাবি নির্মাতাদের।

বয়স্কদের বিশেষ করে যাঁরা একা থাকেন তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে অ্যাপটি। বয়স্কদের জীবনীশক্তি এবং মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াবে অ্যাপটি। আমেরিকার নর্থদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার ডিসিপ্লিন্যারি সেন্টার ফর নেটওয়ার্ক সাইন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনের এক গবেষক।

এমন অভিনব অ্যাপ তৈরির ভাবনা কেন?


ক্রমশ অ্যাপ নির্ভর হয়ে উঠছে জীবনযাত্রা। বিভিন্ন অ্যাপের সিংহভাগ ক্রেতাই যুব সম্প্রদায়। বয়স্করা ততোটা নন। তাই তাঁরা যাতে স্বচ্ছন্দে এটি ব্যবহার করতে পারে সেভাবেই এটি বানানো হয়েছে। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাও রাখবে এটি।

 
 

কী ভাবে কাজ করবে অ্যাপটি?


বাইরের ফাস্ট ফুড খেতে গিয়েছেন কোনও বয়স্ক মানুষ। তাঁকে সাবধান করে দেবে অ্যাপই। বলে দেবে ঘরের তৈরি খাবার খাওয়া ভাল। হয়ত কফি খেতে ভালবাসে কেউ। অ্যাপটিই বলে দেবে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় কম খাওয়া উচিত।

দিনে কতটা স্বাস্থ্যকর সেই সব খাবার খেয়েছেন তারও তথ্য রাখবে অ্যাপটি। হয়ত এত সবের পরেও ছোটখাট কিছু শারীরিক সমস্যা যেমন পেটের গোলমাল, বদহজম হয়েছে। ভয় পাবেন না। আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে আপনার অ্যাপ।

এটির মাধ্যমে তিনিই আপনাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেবেন। এ ছাড়া কেউ যদি অবসাদে ভোগে তার মোটিভেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া যোগাভ্যাসের উপকারিতার কথাও মনে করিয়ে দেবে অ্যাপটি।

অ্যাপটিতে আরও বেশি ইন্টারঅ্যাক্টিভ করার জন্য অডিও এবং ভিডিও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কোনও প্রশ্ন থাকলে টেক্সট মেসেজ অথবা ভিডিও রেকর্ডং পাঠালে, সমাধান জানিয়ে দেবে কেয়ার প্রোভাইডার।

শুধু শারীরিক সমস্যা মেটানোর কথাই ভাবা হয়নি। মনও যাতে ভাল থাকে সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। শব্দছক, সুদোকু পাজলের মতো খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।
 

বয়স্ক বন্ধুরা আর নিজেকে আলাদা ভাববেন না। ভাল থাকতে বরং হাত বাড়ান প্রযুক্তির দিকে।

এইচকে/একে

উপরে