আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:৪০

খালেদার দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ ডিসেম্বর

অনলাইন ডেস্ক
খালেদার দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ ডিসেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ০৩ ডিসেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) খালেদার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পুরনো দুই সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষে আগামী ০৩ ডিসেম্বর পুরনো সাক্ষীদের জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত। 

দেশে ফিরলেও পুরোপুরি  সুস্থ না হওয়ায় আদালতে অনুপস্থিতির জন্য দুই মামলায়ই খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

আগামী তারিখে খালেদা আদালতে হাজির হবেন বলেও জানান তিনি।

আদালত খালেদার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষীদের জেরার আদেশ দেন।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার লিভ টু আপিলের কথা জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করেন একই আইনজীবী। আবেদনটি মঞ্জুর করে তা মুলতবি রেখেছেন আদালত।

মামলাটির ২০ ও ২১তম সাক্ষী (জব্দ তালিকার সাক্ষী) মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ডিএমডি মাইনুল ইমরান চৌধুরী ও মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের সাবেক ডিজিএম (ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস) জাকারিয়া খানকে আসামিপক্ষে জেরা করেন অ্যাডভোকেট টিএম আকবর, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান।

আগামী ধার্য তারিখে আগে সাক্ষ্য দেওয়া ২২ থেকে ২৫তম সাক্ষী সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এসইভিপি জিয়াউদ্দিন এম ঘুর্নি, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার কামরুজ্জামান এবং দুদকের দুই কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক ও সিরাজুল হককে আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

 

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/একে

উপরে