আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৩:৪৮

বিডিআর এখন কলঙ্কমুক্ত: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
বিডিআর এখন কলঙ্কমুক্ত: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের বিচারের মাধ্যমে এই বাহিনী এখন সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস-২০১৫ এর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় ২০০৯ সালের ওই বিদ্রোহকে ইতিহাসের ‘কালো অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করেন হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সে সময় সরকার গঠনের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আমাকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল”।

বিডিআর সদস্যদের উদ্দশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের সম্মিলিত সহযোগিতায় সেদিনের সঙ্কটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলাম। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি আমরা। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সদা সতর্ক থাকবেন, ভবিষ্যতে কখনও এমন আত্মঘাতী সংঘাত যেন সৃষ্টি না হয়।”

সীমান্তরক্ষা বাহিনীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কাজ করার এবং মানুষের আস্থা অর্জনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পিলখানায় বিডিআর বাহিনীতে বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে। ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন প্রাণ হারান।

রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের পর দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি বদলে দেওয়া হয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে।

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বাহিনীর নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পোশাকও পরিবর্তিত হয়।   

শেখ হাসিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বাহিনীর ১৭ জন সদস্যের শাহাদাত বরণের ঘটনার উল্লেখ করে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাহিনীর ১২ হাজার বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা দেখিয়েছে।

উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিজিবিকে একটি দক্ষ, চৌকস, কৌশলী ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন তিনি।”

প্রধানমন্ত্রী সকালে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৫৬ জনকে পদক প্রদান করেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী ট্রিক ড্রিল ও ডগ ড্রিল প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

কুচকাওয়াজ শেষে চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও ও খাগড়াছড়িতে নবনির্মিত ৩টি ৫০ শয্যার বর্ডার গার্ড হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং সীমান্ত ব্যাংকের লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এআর/একে

উপরে