আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১২:৫৯

পদ্মায় নদী শাসন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
পদ্মায় নদী শাসন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পদ্মায় নদী শাসনের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় এ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর জাজিরায় পদ্মার তীরে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

জাজিরার অনুষ্ঠান শেষে নৌপথে মাওয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। পথে নদীর মধ্যে সাত নম্বর পিলারের পাইলিং কাজের জায়গাটি দেখবেন তিনি।

সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ওই ৭ নম্বর পিলারের মাধ্যমেই শুরু হবে মূল কাজ। মাওয়ায় পৌঁছে সেখানে মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী দুপুরে শ্রীনগরের দোগাছিতে পদ্মা সেতু এলাকায় তাঁর জন্য নির্মিত পদ্মা-১০ কটেজে অবস্থান করবেন। কটেজের তিনটি কক্ষে অত্যাধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। ভেতরে থাকা একটি বিশাল স্ক্রিনে দেখা যাবে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ তথ্য, সেতু এলাকার কোন প্রকল্পের কাজ কতটুকু এগোচ্ছে।

মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে লৌহজংয়ে মাওয়াঘাট-সংলগ্ন খানবাড়ি ও উত্তর মেদিনীমণ্ডলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরবেন।

এর আগে সকাল নয়টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে তাঁর রওনা হতে কিছুটা দেরি হয়।

২০১৮ সালের মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। নিজস্ব অর্থায়নে এটি এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। এই সেতু হলে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণাঞ্চল। এই সেতুতে ট্রেনও চলবে। এশিয়ান হাইওয়ের পথ হিসেবেও সেতুটি ব্যবহৃত হবে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।

পদ্মা সেতু ঘিরে হংকংয়ের আদলে নগর গড়ার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। মাওয়া থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত চার লেনের সড়ক হবে। রাজধানীর বিজয়নগর থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে হবে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/একে

উপরে