আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২০:৫৭

অলোয় উদ্ভাসিত পদ্মাপাড় আজ সেতু উদ্বোধনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অলোয় উদ্ভাসিত পদ্মাপাড় 
 আজ সেতু উদ্বোধনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মার পাড় এখন আর সেই নিভৃত এলাকা নেই। সারা দিন তো জনাকীর্ন থাকেই, রাতে আঁধার নামার সাথে সাথে গ্যালাক্সীর মতো পদ্মাপাড়েও জ্বলে উঠে হাজারো আলোর কনিকা। এই আলোর কনিকাকে সাক্ষী করে রাতভর জুড়েও কাজ করা হয় স্বপ্নের পদ্মাসেতুর। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য রয়েছে ছোট ছোট ঘর।

আর সেখানেই রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় একটি ঘর। পাঁচ তারকা হোটেলের ছায়ায় গড়ে উঠেছে এই ঘর। ঘরের চারপাশ জুড়ে রয়েছে ২০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রজাতির ফুলের বাগান। ভেতরে রয়েছে ৩টি কক্ষে। যা সজ্জিত অত্যাধুনিক সব সুবিধা। রয়েছে ড্রয়িং-ডাইনিং স্পেসসহ সুপরিসর সব আয়োজন। আর ঘরের চারধারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো।

ভেতরে বিশাল মনিটরের একটি কম্পিউটার স্ক্রিন,যেখানে দেখা যাবে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ তথ্য ও সেতু এলাকার সকল কাজের খোজ খবর।

কক্ষটির নাম পদ্মা-১০। তার নিচে এই ঘরের মালিকের নাম লেখা। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সেতু এলাকায় এভাবে ঘরটি সাজানো। তিনি পদ্মাসেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা। আর স্বপ্ন পুরণের কারিগরও।

আগামীকাল প্রথম বারের মতো পদ্মার পাড়ে তার নিজ বাড়িতে যাবেন। কাটাবেন কিছুটা সময়।
উদ্বোধনের দিন এই ঘরের ভেতরে নিজের কক্ষে বসেই প্রধানমন্ত্রী দেখবেন সাত মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি। যে ডকুমেন্টারিতে দেখানো হবে পদ্মাসেতুর কর্মযজ্ঞগুলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার সকালে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে শরীয়তপুরের জাজিরার উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে পৌঁছে সকাল ১০টার দিকে তিনি জাজিরায় পদ্মা সেতুর নদী শাসনকাজের উদ্বোধন করবেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নদীপথে শরীয়তপুর থেকে মাওয়ায় যাবেন। দুপুর ১২টার দিকে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর মূল কাজের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শ্রীনগরের দোগাছিতে মধ্যাহ্নবিরতি শেষে লৌহজংয়ে মাওয়াঘাট সংলগ্ন খানবাড়ি ও উত্তর মেদেনীমণ্ডলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। জনসভা শেষে হেলিকপ্টারে করে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এমপি/জামা

উপরে