আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৫ ১৪:২৮

গ্রামীণফোনকে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ

অনলাইন ডেস্ক
গ্রামীণফোনকে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ

লালমনিরহাটের আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে থ্রি-জি সেবা চালু করায় গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আঙ্গরপোতা,-দহগ্রামে থ্রি-জি সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, ”বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটাল টেলিফোন সহজলভ্য করেছি ‍আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে।

”বিএনপির আমলে মোবাইল ফোনের দাম ছিলো ১ লাখ ২০ হাজার। কলরেট ছিলো ১০ টাকা মিনিট। বিএনপির এক মন্ত্রী এটা চালাতেন। সেটাও আবার চট্টগ্রাম আর ঢাকায় কিছুটা সহজলভ্য ছিলো।”

শেখ হাসিনা বলেন, “ আমরা ক্ষমতায় এসে মোবাইল সেবাকে প্রাইভেট সেক্টরে নিয়ে আসি। প্রথমে গ্রামীণফোন, একটেল ও সেবাকে প্রাইভেটে ব্যবসা করার সুযোগদেই।”

এখন বাংলাদেশ থ্রি-জিতে চলে গেছে মন্তব্য করে হাসিনা বলেন, “গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের মতো এমন একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এ সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।”

গণভবনে এসময় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠিসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে দহগ্রামে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ গ্রামীণফোনের বিভিন্ন পর‌্যায়ের কর্মকর্তারা।

দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার সুপেয় পানির ব্যবস্থ‍া করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে নামকরা ডাক্তাররা যান, সারাদিন থাকেন। লালমনিরহাটের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার জন্য তিস্তার উপর ব্রিজ করেছি। এখন ওখানকার আশপাশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।”

প্রায় আট হাজার পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল করার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার পোস্টঅফিস ডিজিটাল হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের মঙ্গা আওয়ামী লীগ সরকার দূর করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটকে এখন আর কেউ মঙ্গাপীড়িত এলাকা বলে না। লালমনিরহাটের রেলজংশনটা মৃতপ্রায় ছিলো। সেটা আমরা আবার নতুন করে দিচ্ছি। এটা কুড়িগ্রামেও যাবে। সহজ হবে যোগাযোগ।”

এর আগে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতায় ৫০ হাজার অধিবাসীর জন্য থ্রি-জি নেটওয়ার্ক চালু হলো। আর প্রথমবারের মতো এ কাজটি করেছে গ্রামীণফোন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাদের আশা থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে বিলুপ্ত এই ছিটমহল উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন ৬৮ বছরের বঞ্চনার শিকার এসব অধিবাসী।

বিটিআরসি মনে করছে থ্রি-জি সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজ, স্বাচ্ছন্দ্য ও গতিশীল হবে এখানকার অধিবাসীদের জীবন। হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাবে সব সেবা।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/একে/২৫/১১/০১৫

উপরে