আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ১০:১৬
সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানের বিবৃতি

পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে ঢাকায় তলব

অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে ঢাকায় তলব

একাত্তরের মানবতাবিরোধী হত্যা মামলায় সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডকে ‘‘দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ড’’ এবং উদ্বেগ ও বেদনা প্রকাশ করে  বিবৃতি দেয়ায় পাকিস্তানের হাই কমিশনার সুজা আলমকে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে।  বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন তারা বিবৃতি দিলো তার ব্যাখ্যা দিতেই তাকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও উদ্বেগ জানিয়েছিল পাকিস্তান।

‘পাকিস্তানের প্রতি অনুগত এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করায়’ কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে দাবি করে সে সময় দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়।

তা নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে ওই প্রস্তাব গ্রহণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর রোববার সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর এক বিবৃতিতে উদ্বেগের কথা জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম।”

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর কয়েকজনের সাজার পর এই দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় ইসলামাবাদের নাখোশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।   

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের এই বিচারকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান।

১৯৭১ সালের বাঙালিদের জীবনের মর্মান্তিক অধ্যায়কে পাশে রেখে ১৯৭৪ সালের ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ চুক্তির আলোকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঢাকার প্রতি আহ্বান রেখেছে ইসলামাবাদ।   

কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর পর পাকিস্তানের দূতাবাস ঘেরাওয়ে গিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ।   

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াত নেতা এবং তাদের রায়ের পর পাকিস্তান জামায়াত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে।

পাকিস্তানের এই বিবৃতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ভিয়েনা কনভেনশনের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তান কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার মতো যৌক্তিক অবস্থান পাকিস্তানের নেই। শুধু পাকিস্তান কেন কোনো রাষ্ট্রেরই নেই। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/আরিফ

উপরে