আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৪:৫২

তুরস্কের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কের উপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

তুরস্ক-রাশিয়া কোন্দল এবার এসে ঠেকলো নিষেধাজ্ঞায়। রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার জেরে সৃষ্ট উত্তেজনায় এবার তুরস্কের উপর বেশ কিছু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে রুশ সরকার।

গত চার দিনধরে দুদেশের মধ্যে চলমান বাকযুদ্ধের পরিণতিতে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ডিক্রিতে সই করেন।

ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ওই ডিক্রিতে তুরস্ক থেকে আমদানি, রাশিয়ায় তুর্কি কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা এবং রুশ কোম্পানিতে তুরস্কের নাগরিকদের কাজ করার ওপর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধের কথাও বলা হয়েছে এতে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্য অনেক দিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী দেশ রাশিয়া।

অন্যদিকে এই আদেশ দুই দেশেরই পর্যটনশিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। শুধু গতবছরই ৩০ লাখের বেশি রুশ পর্যটক তুরস্কে ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়ায় অবস্থানরত তুরস্কের নাগরিকদের সংখ্যাও কম নয়।

পুতিনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৯০ হাজার তুর্কী নাগরিক কর্মরত আছেন। তাদের পরিবারের সদস্যসংখ্যা যোগ করলে দেখা যাবে রাশিয়ায় তুরস্কের অন্তত দুই লাখ নাগরিক অবস্থান করছেন।

পুতিনের নিষেধাজ্ঞা আদেশে তুরস্কের নাগরিকদের কাছে ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য রুশ পর্যটন সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তুর্কী নাগরিকদের রাশিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।

এর আগে রাশিয়া বিমান ভূ্পাতিত করার ঘটনায় ক্ষমা চাইতে বললেও, তা নাকচ করে দিয়েছিলেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান। বরং সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযান প্রসঙ্গে গত শুক্রবার এরদোয়ান বলেছিলেন “তারা আগুন নিয়ে খেলছে।”

তবে পরদিনই বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় তিনি ‘মর্মাহত’ বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান।

বিডিটাইমস৩৬৫/আর আর/একে

 

উপরে