এবার সেই ওসিকে নিতে হবে নিজের বিরুদ্ধে মামলা | BD Times365 এবার সেই ওসিকে নিতে হবে নিজের বিরুদ্ধে মামলা | BdTimes365
logo
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫২
চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু বিষয়ে আদালতের নির্দেশ
এবার সেই ওসিকে নিতে হবে নিজের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার সেই ওসিকে নিতে হবে নিজের বিরুদ্ধে মামলা

দুদকের সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষে দায়ের করা মামলায় চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলামসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বাদীর আবেদনটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে বিবাদী চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলামকে তার নিজের বিরুদ্ধে করা মামলা গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ . বেগম জেবুননেছার আদালত সোমবার (১৬ অক্টোবর) আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনে মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন আদালত পরবর্তীতে চান্দগাঁও থানার ওসিকে বাদীর আবেদনটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে এই মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত।

ওসি খাাইরুল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চান্দগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) কলি আক্তার (১৯)

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা আদালতে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত চান্দগাঁও থানায় মামলাটি রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বলেন, আদালত ভুক্তভোগীর অভিযোগটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল।

এর জের ধরে গত ২৯ আগস্ট শহীদুল্লাহ তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন রনি আক্তার তানিয়া নামের এক নারী। মামলার অভিযোগ শুনে বিচারক ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে মামলার আসামি শহীদুল্লাহ কায়সার আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত।

ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। এরপর গত অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

থানায় নেওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা অন্যান্য বিবাদীদের যোগসাজশে শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করেন। এমনকি তাকে পরিবারের লোকজন ওষুধ দিতে চাইলেও থানার পুলিশ কর্মকর্তারা সেগুলো পৌঁছাতে দেননি। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহীদুল্লাহ মারা যান।