`আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে। বিএনপি করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ | BD Times365 `আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে। বিএনপি করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ | BdTimes365
logo
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:১০
সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান
`আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে। বিএনপি করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা’
নিজস্ব প্রতিবেদক

`আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে। বিএনপি করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা’

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই (হত্যা) করে। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। অতীতে তাই হয়েছে। এবারও গণতন্ত্র উদ্ধার হবে ইনশাল্লাহ।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী এস এ খালেক প্রোপার্টি চত্বরের সামনে ‘একদফা’ দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই সরকারের পতন অবিসম্ভাবী। আজকে শুধু বাংলাদেশের জনগণ না, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমাদের আন্দোলন একদফার আন্দোলন, আমাদের এই দাবি ন্যায্য। আমরা জনগণের পক্ষে আছি, জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। এই সরকারের পতন হতেই হবে। যারা পতনের আন্দোলনের আছেন তারা একদিন গৌরব করবেন যে, এই সরকারের পতন করেছি।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আলোচনায় থাকা বিচারপতি কে এম হাসানের বিরোধীতা করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। সেই প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তৎকালীন প্রধানবিচারপতি কেএম হাসান যদি ২৬ বছর আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তার অধীনে যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয়। তাহলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে। সেই নির্বাচনে কেনো বিএনপি যাবে। 

তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আজকে শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচন নয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত কারচুপি হয়। তারপরও কী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি মেনে নিতে হয় না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি মানতে চান না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এই সরকারের ভরাডুবি হবে।   

গুম, খুন হামলা মামলা ও দ্রুত সাজা দেওয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের বর্ণানা দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ রকম একটি পরিস্থিতিতে বিএনপি-এমনকি দেশের যত গণতন্ত্রকামী দল আছে সবাই মিলে দাবি করেছে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম এতো বেড়ে গেছে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাংলাদেশের এমন কোনো কৃষক, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার, পুলিশ ও সরকারি কর্মচারি নাই যে যারা হালাল উপার্জন দিয়ে জীবিকা চালাতে পারে।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘বর্তমানে সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ বলছে, কেউ বলছে না। যারা আমার বক্তব্য শুনছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু যারা এখনো আসছেন না তাদের প্রতি আমার অনুরোধ ১৯৭১ সালে আমাদের যখন মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিল, আমরা যুদ্ধে গিয়েছি। এখন গর্ব করে বলি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু যারা সেদিন যায়নি তারা এখন আক্ষেপ করে যদি যাইতাম তাহলে তো আমিও গর্ব করে বলতে পারতাম আমিও মুক্তিযোদ্ধা।’

গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অবদানের কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং আগামীতে বিএনপিই পারবে। ১৯৭৭ সালে বাকশালের গোরস্তানের ওপর গণতন্ত্রের বাগান বানিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এরশাদের সামরিব শাসনের বিরুদ্ধে ৯ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বাংলাদেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপি এই নেতা বলেন, আজও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এটা ইতিহাস আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র জবাই করে আর বিএনপি গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠা করবে। অতীতেও তাই হয়েছে এবারও তাই হবে। 

মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, আফরোজা খানম রীতা, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, তাবিথ আউয়াল, নাজিম উদ্দিন আলম, এস এ সাজু, যুবদলের মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খানসহ আরও অনেকে।