প্রযুক্তিও মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে: প্রধানমন্ত্রী | BD Times365 প্রযুক্তিও মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে: প্রধানমন্ত্রী | BdTimes365
logo
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:২৪
প্রযুক্তিও মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে: প্রধানমন্ত্রী
বিডিটাইমস ডেস্ক

প্রযুক্তিও মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে: প্রধানমন্ত্রী

বর্তমান সার্বজনীন ও বহুকেন্দ্রিক বিশ্বে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পারস্পরিক যোগাযোগ দৃঢ় করলেও মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

প্রযুক্তি ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও সক্ষম করে তোলার উপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

 

শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও এএফডি কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা একটি সর্বজনীন ও বহুকেন্দ্রিক বিশ্বে বসবাস করছি। যেখানে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পারস্পরিক সংযোগকে সুদৃঢ় করছে, উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের পথ দেখাচ্ছে, আবার মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে।

 

“বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নানা ধরনের ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আমি আশা করি, এই প্রশিক্ষণ আপনারা কাজে লাগাবেন, স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগবেন, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনারা অনেক বেশি সক্ষম হবেন।”

 

বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জঙ্গিদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সম্প্রতি ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কয়েকটি যোগাযোগ মাধ্যম কিছু দিনের জন্য বন্ধও রাখে সরকার।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজ যে একটি উন্নততর ও পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিশ্বে বসবাস করছি, সেই বিশ্বও বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত কারণে সুরক্ষিত নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর উন্নত বিশ্বের অনেক নিয়ম-নীতি প্রভাব ফেলে। যার ফলে উন্নত দেশের অনেক অভিঘাতের প্রতিই তারা থাকে সংবেদনশীল।

 

“এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিকে বহুমুখী ও শক্তিশালী করার জন্য নিজেদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা প্রয়োজন।”

 

প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে রাজনীতি, অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”

 

“১৯৯৬ সালের পূর্বে সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ ও মধ্যপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। আপনাদের উচ্চশিক্ষার কথা বিবেচনা করে আমাদের পূর্ববর্তী মেয়াদকালে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি এনডিসি, যা বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।”

 

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জনগণের পাশে থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

 

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান রাষ্ট্রের কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতি উন্নয়নে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

 

চলতি বছরের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে (এনডিসি) এবং আর্মর্ড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে (এডাব্লিউএফ) অংশ নিয়েছেন ১১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা।

 

এনডিসিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের ৫১ জন এবং চীন, ভারত, মিশর, মিয়ানমার, ওমান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, শ্রীলংকা, সৌদি আরব, তানজানিয়া ও যুক্তরাজ্যের ২৫ জন অংশ নেন।

 

অন্যদিকে এডাব্লিউএফ কোর্সে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৩৭ জন সদস্য অংশ নেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের মধ্যে হোসেন তৌফিক ইমাম, মসিউর রহমান ও গওহর রিজভী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়াসহ তিন বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/একে