বাজিরাও মাস্তানি | BD Times365 বাজিরাও মাস্তানি | BdTimes365
logo
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৪:০৬
বাজিরাও মাস্তানি
অনলাইন ডেস্ক

বাজিরাও মাস্তানি

সঞ্জয় লীলা বানসালির চলচ্চিত্র অভিধানে চরিত্রায়ণ ও চিত্রায়নের ক্ষেত্রে ‘রিয়েলিজম’ নামক শব্দটি বরাবরই সুদূরপরাহত। প্রায় একদশক ধরে তিনি ভাবছিলেন ‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমাটি নিয়ে। কিন্তু করি করেই করেও করে ওঠা হয়নি। তবে এবার তিনি গো ধরেছিলেন সিনেমাটা করবেন, আর করেই ছাড়লেন। ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

রানভির সিংয়ের বোধহয় ক্যারিয়ারের এটাই সেরা আভিনয়। সঙ্গে আছেন দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপরা, তারভির আজমী এবং মালিন্দ সোমান। তারপরও এটা বলতেই হচ্ছে সিনেমাটি লেখনি খুবই দুর্বল, তবে তা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে রানভীরের সঙ্গে দীপিকা আর প্রিয়াঙ্কার প্রেম উপাখ্যানের স্বপ্নময় চিত্রালেখ্য।

পুরো সিনেমাতেই রানভীর ছিলো দেখার মত। তিনি আসলেই একজন আসাধারণ আভিনেতা। তার শক্তি, উদ্দিপনা, উচ্চারণের সঠিকতা, আর চোখের ভাষা ছিলো সত্যিই দেখারমত। অসাধারণ এই অভিনেতা আসলেই আভিনয় করতেই জন্মেছেন। দীপিকাও তার চরিত্রে ছিলেন নির্ভূল। প্রিয়্কাও ছিলেন সমানে সমান। আর দুজনের নাচের তো এখন বলিউডে জুড়ি মেলাই ভার হচ্ছে।

তবে সঞ্জয়ের সিনেমা নিয়ে বসলে অভিভূত হওয়া ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকেনা। তিনি আসলেই তার চোখ দুটোকে ক্যামেরার চোখ বানিয়ে নিয়েছেন। আর সঞ্জয়ের ওপর মানুষের এই ভরসার জায়গাটাই সিনেমাটির ব্যাবসায়িক মূল উপজীব্য বলে ভাছেন বলিউড বোদ্ধারা।

সিনেমাটি যেনো সঞ্জয়ের ভালবাসার প্রথম সিনেমা। অবশ্য তার প্রতিটি সিনেমাতেই এমনটা মনে হয়। সিনেমাটোগ্রাফি, স্পট, লাইটিং, সেট, কাস্টিং, ডিটেইলিং সব; সবকিছু এতো গোচালো। সিনেমাটির প্রতিটি কোনায় কোনায় এক যত্ন তার পক্ষেই সম্ভব। সিনেমাটিতে বয়েছে ভারবাসার এক স্পষ্ট প্রভাব, যা বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।

সিনেমাটির মূল চরিত্রটি ঐতিহাসিক পেশওয়া বাজিরাওকে গিরে তৈরি। তবে সঞ্জয়ের বাজিরাও অবশ্য একবুক ভালবাস পূর্ণ এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। এই বাজিরাও এক শক্তিশালী, ধীসম্পন্ন, কারণনির্ভর, অম্লানবদনের এক যোদ্ধা। বানসালীর ‘মাস্তানি’ সাহসী এক নারী, যে তার ভালবাসার মানুষটির জন্য পুরো পৃথিবীর সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং তার প্রবল আবেগ দিয়ে তাকে জয় করেই ক্ষান্ত হন মাস্তানি।

তবে ইতিহাস কি বলে তার ধার ধারেননি পরিচালক। নিজের চোখে তিনি দেখেছেন বাজিরাও-মাস্তানির ভালবাসাকে।

সিনেমার প্রথম পর্ব আপনাকে আটকে রাখবে বরশিতে গাঁথা মাছের মত। পপকর্ণ খাবার সময়টা আপনাকে ‘শকে’ ফেলে দিলে অবাক হবার কিছু নেই। রানভীরের অসাধারণ যুদ্ধশৈলীর প্রদর্শনী, দীপিকার তাকে টেক্কা দেওয়ার একের পর এক যুদ্ধ আর প্রিয়াঙ্কার দোনোমনো মনোভাব আপনাকে একটু পাকে চক্রে জড়িয়ে ফেলবে সেটাইতো স্বাভাবিক।

পুরো সিনেমাতেই মনে রাখার মত আছে অনেক কিছুই- কুককুম-হলদি অনুষ্ঠানে কাশি আর মাস্তানির পরিবর্তন, যখন কাশি মাস্তানিকে বাচায় এক গুপ্ত ষড়যন্ত্র থেকে; বাজিরাওয়ের ডায়ালগ, “বাজিরাওছে মোহাব্বাত আইয়াসি’;

সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি অনেকবেশি উপভোগ্য। সময়টা নষ্ট হবেনা আপনার এটুকুতো বলাই যায়।

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/একে