মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গেরিলা হামলার ঘটনাগুলোকে নিয়ে তৈরি প্রথম ভিডিও গেমস ‘হিরোজ অব ৭১’ বুধবার ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে।
থার্ড পারসন শুটিং ক্যাটাগরির এ গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘পোর্টব্লিস গেইমস’। এক জিবি র্যাম আছে এমন যে কোনো আন্ড্রয়েড ডিভাইসে খেলা যাবে গেইমটি, আর ফাইল স্টোরেজে জায়গা নেবে মাত্র ৫০ মেগাবাইট ।
মুক্তির পর পরই বাংলাদেশি মোবাইল গেইমপ্রেমীদের বিপুল সাড়া পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই গেমটি।
গুগল প্লে স্টোরের তথ্যানুযায়ী, মুক্তির দ্বিতীয় দিন থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দশ হাজার বারের উপরে ডাউনলোড করা হয়েছে গেইমটি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যুদ্ধকে অবলম্বন করে এই গেইমটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পোর্টব্লিস।
গেইমটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে মোবাইল গেইমপ্রেমী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আয়ান বলেন, “এই গেমটি খেলতে গিয়ে অনেক আবেগআপ্লুত হয়ে পড়ছি। মনে হচ্ছে আমি নিজে দেশের জন্য যুদ্ধ করছি। ধন্যবাদ তাদের যারা এই গেমটি তৈরি করে আমাকে এমন অনুভূতি দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা গ্রুপ ‘সামসু বাহিনীর’ সঙ্গে মধুমতি নদীর তীরে শনির চরে হানাদার বাহিনীর লড়াইকে উপজীব্য করে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘হিরোজ অব ৭১’। শনির চর থেকে শুরু করে বরিশাল বিজয় পর্যন্ত এটি বিস্তৃত।
আরেক গেইমপ্রেমী আসিফ বলেন, “এই গেমটি আসলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কথা বলে। গেমটি খেলতে পেরে অসাধার লাগছে আমার কাছে।’’
‘আশা করি গেমটিতে বাংলাদেশের সব কয়টি এলাকা যোগ হবে। যখন আমি নিজের এলাকায় গেমের মাধ্যমে যুদ্ধ করতে পারবো, তখন গেমটি খেলতে আরো বেশি ভালো লাগবে।’ যোগ করেন আসিফ।
বিজয় দিবসের কয়েকদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই থার্ড শুটার গেইমটি বাংলাদেশি গেইমপ্রেমীদের কাছে ৪.৯ রেটিং পেয়েছে।
গুগল প্লে ষ্টোরের ইউজারদের কমেন্ট থেকে জানা যায়, গেমটিতে কিছুটা সীমাবদ্ধ আছে। তবে পাশাপাশি গেমটির জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন ব্যাবহারকারীরা।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এআর