দেশের বিমানবন্দর নিয়ে ‘বিরক্ত’ আমেরিকানরা! | BD Times365 দেশের বিমানবন্দর নিয়ে ‘বিরক্ত’ আমেরিকানরা! | BdTimes365
logo
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:২২
দেশের বিমানবন্দর নিয়ে ‘বিরক্ত’ আমেরিকানরা!
অনলাইন ডেস্ক

দেশের বিমানবন্দর নিয়ে ‘বিরক্ত’ আমেরিকানরা!

এশিয়ার অনেক বিমানবন্দরের তুলনায় আমেরিকার অনেক বিমানবন্দর এখনও সেবার ক্ষেত্রে অনেকের তুলনায় পিছিয়ে আছে।

বিবিসি বাংলা বলছে, আমেরিকার বিমানবন্দরগুলো যাত্রীদের কাছেও এখন বেশ অপছন্দের।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর পৃথিবীর ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম। গত তিন বছর ধরে এই বিমানবন্দরটি পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিমানবন্দরের স্থান দখল করে আছে। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বাণিজ্যিক এলাকা থেকে উত্তর-পূর্বে ১৭.২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিমানবন্দর। এখানে রয়েছে অর্কিড এবং ক্যাকটাসের বাগান।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের পরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন বিমানবন্দর। এখানে আইস-স্কেটিং এবং গলফ ড্রাইভিংয়ের মতো ব্যবস্থা আছে। সিউলের ৪৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ইনচনের এ বিমানবন্দরটি ২০০১ সালে নির্মিত। ২০০৫ সাল থেকে এ বিমানবন্দর ‘বেস্ট এয়ারপোর্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ নির্বাচিত হয়ে আসছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেনের পরেই হংকং এবং টোকিও বিশ্বের প্রথম পাঁচটি বিমানবন্দরের মধ্যে রয়েছে।

ইউরোপের মধ্যে একমাত্র জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দর রয়েছে উপরের সারিতে।

আমেরিকার এক নম্বর বিমানবন্দর নর্দার্ন ক্যান্টাকি বিমানবন্দরের অবস্থান বিশ্বজুড়ে ৩০ নম্বরে রয়েছে। বিশ্বের সেরা পঞ্চাশটি বিমানবন্দরের মধ্যে আমেরিকার বাকি যে দুটি বিমানবন্দর রয়েছে তার একটি সানফ্রানসিসকো এবং অপরটি আটলান্টা বিমানবন্দর।

বিবিসির প্রতিবেদনে ‘আস্ক দ্য পাইলট ব্লগ’ নামের একটি ব্লগের লেখক মি. স্মিথকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “আমেরিকায় বড় কয়েকটি বিমানবন্দরের কথা বাদ দিলে বাকি বিমানবন্দরগুলোর অবস্থা ভালো নয়। এ বিমানবন্দরগুলোতে প্রচুর শব্দ, অপরিষ্কার এবং যাত্রী সেবার জন্য ভালো নয়।”

স্মিথ বলেন, “আমাদের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি। কানেকটিং ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।”

যারা অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় আসেন তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময় লাগে বলেও স্মিথ বিরক্তি প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে দ্য ইকনমিস্ট সাময়িকীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ৭৩ শতাংশ আমেরিকান যারা তাদের দেশের বাইরে ভ্রমণ করেন তাদের মতে, সেসব দেশের বিমানবন্দরগুলো আমেরিকার চেয়ে ভালো।

ব্লুমবার্গ পত্রিকার বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, বিমানে ভ্রমণের জন্য আমেরিকা এবং কানাডার বিমানবন্দরগুলো সবচেয়ে ‘বিরক্তিকর।’

নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর নিয়ে অভিযোগেরও অন্ত নেই। এমনকি মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিমানবন্দর সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন,“মনে হয় এটা তৃতীয় বিশ্বের কোন বিমানবন্দর।”

নিউইয়র্ক শহরে আরো দুটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে। একটি হচ্ছে নিউইয়র্ক এবং অপরটি হচ্ছে জেএফকে। যাত্রীদের বিবেচনায় এই বিমানবন্দরগুলো ‘হতাশাজনক।’

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে আমেরিকার আটলান্টা বিমানবন্দর। কিন্তু এই বিমানবন্দরটি বড় হওয়ায় অনেকে এটি ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারেন না। তাছাড়া বিমানবন্দরে সবসময় লোকে পরিপূর্ণ থাকে। নেই সঠিক নির্দেশান ব্যবস্থাও।

উত্তর আমেরিকার এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট কেভিন বার্ক বিবিসির কাছে স্বীকার করেন, আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোর ‘ইমেজ সমস্যা’ রয়েছে।

তিনি বলেন, “বিমান চলাচলে আমরা নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমাদের বিমানবন্দরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম। কিন্তু অনেক বিমানবন্দর পুরনো হয়ে গেছে। এগুলো ব্যবস্থাপনা বেশ ব্যয়বহুল।”

আমেরিকার বিমানবন্দরগুলোর গড় নির্মাণ বয়স ৪০ বছর। অন্যদিকে এশিয়ার অধিকাংশ বিমানবন্দরগুলোর গড় বয়স ১৫ বছর।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন আমেরিকার বিমানবন্দরগুলো অবস্থান ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটের মাঝখানে নয়।

পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সেটাও অন্যতম কারণ। দুবাই, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ফ্রাঙ্কফুট বিমানবন্দরের বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সেজন্য তাদের আয় বেশি।

বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/আরআর/একে/জেডএম