মেক্সিলারেশনে সেরা সাস্টের রোবট | BD Times365 মেক্সিলারেশনে সেরা সাস্টের রোবট | BdTimes365
logo
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ১০:৪৬
মেক্সিলারেশনে সেরা সাস্টের রোবট
জামিল মাহমুদ

মেক্সিলারেশনে সেরা সাস্টের রোবট

২৮ আগস্ট গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)তে হয়ে গেলো মেক্সিলারেশন-২০১৫ আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেয় আইইউটি, রুয়েট, বুয়েট, কুয়েট, ব্র্যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২১টি টিম। চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘সাস্ট অপ্টিমিস্টিক’।

‘সাস্ট অপ্টিমিস্টিক’। এই টিমে ছিলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফারহানুল ইসলাম তানভীর, সাখাওয়াত হোসেন প্রয়াস, মোঃ রাগিব শাহারিয়ার শুভ। পড়েন তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের। ২১টি টিমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হয় তাদের দল। পয়েন্ট ছিলো ৩৩১৮। প্রাইজমানি ছিলো ৩০০০০ টাকা। সাস্ট অপ্টিমিস্টিক টিমের রোবট এর সময় লেগেছিলো ৪৯ সেকেন্ড। রোবটটি আকারে দৈর্ঘ ২৫ সেমি এবং প্রস্থ্য ২০ সেমি, উচ্চতা ১২ সেমি, ভর ১.২ কেজি এবং গতি ঘন্টায় ৩.৫ কিমি। এটা সর্বোচ্চ ৫ কেজি ওজনের বস্তুকে বহন করতে পারে। এই রোবট বানাতে ৬০০০ টাকার মত খরচ লেগেছে। ১২ দিনের মত লেগে ছিলো।

প্রথম হওয়ার আনন্দে দলনেতা ফারহানুল ইসলাম তানভীর বলেন, আমাদের আশা পূরণ হয়েছে। আগের দুইবারের মতো এইবারও প্রথম হয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এর সুনাম ঠিক রাখতে পেরেছি। কি কি কাজে আসবে এ নিয়ে তানভীর বলেন, এই রোবট অত্যান্ত দক্ষ্যতা ও বিশ্বস্বতার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের কোন নিয়ন্ত্রন ছাড়া একটানা কাজ করতে পারে। উদ্ধার কাজ, নজরদারির কাজে লাগতে পারে কল-কারখানায় জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে পারবে। যা নির্ধারিত কোন লাইন অনুসরন করে সঠিক পথে গিয়ে গিয়ে কোন বস্তুকে রোবটিক্স আর্ম দিয়ে ধরে তুলে নিয়ে পূর্ব নিধারিত স্থানে রাখতে পারে। এমনকি কোন স্থানে লাইন না থাকলে দেয়াল অনুসরন করে দেয়াল স্পর্শ না করে দেয়ালের পাশ দিয়ে চলতে পারে।

সাখাওয়াত হোসেন প্রয়াস বলেন কিভাবে শুরু হলো এই টিম, ১৬ অক্টোবর ২০১৩ সাল। কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়েন সজীব ভাই। তখন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর উৎসাহে তিনি রোবটিক্স এর উপর ওয়ার্কশপ নেয়ার জন্য ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খুলেছিলেন। ইভেন্টটি দেখে আমিই ঠিক করি ওয়ার্কশপে যাবো। আমাদের ডিপার্টম্যান্টের ফারহান ও শুভ কে ওয়ার্কশপের কথা বলি। ওরাও রাজি হয়ে গেলো। এরপর আমারা সজিব ভাইয়ের ওয়ার্কশপে যাই। ওখানে গিয়ে আমাদের রোবোটিক্স সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা হয়।

সফলতা নিয়ে এই টিমের আরেক সদস্য মোঃ রাগিব শাহারিয়ার শুভ বলেন, আমরা প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশ নেই ২০১৪ সালে। সেটা ছিলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ‘ইজোন্যান্স-২০১৪’ রোবোটিক্স প্রতিযোগীতা। ৩২ টি টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। এরপর আমরা মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ট্যাক ফ্যাস্ট ২০১৪ অংশ নিয়ে ইন্টারন্যাশ্যনাল রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জে তৃতীয় হয়। এরপর আমরা ২০১৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েসন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত মাইক্রোমাউস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আমরা আন্তর্জাতিক রোবটিক্স কম্পিটিশনে আরও ব্যাপকভাবে অংশ নিতে চায়। দেশের সুনাম ধরে রাখতে চায়।