তিনদিনের চট্টগ্রাম ভ্রমণ | BD Times365 তিনদিনের চট্টগ্রাম ভ্রমণ | BdTimes365
logo
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:২৮
তিনদিনের চট্টগ্রাম ভ্রমণ
জামিল মাহমুদ

তিনদিনের চট্টগ্রাম ভ্রমণ

২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪। তিনদিনের চট্টগ্রাম ভ্রমণে গেলেন ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ১৫ শিক্ষার্থী।  চুনতি ওয়াইল্ড লাইফ সেঞ্চুরির, লামা পাহাড়, আর সবশেষে কক্সবাজার সাফারি পার্ক ঘুরে দেখার গল্প জানাচ্ছেন অন্বয় অদিত।

২২ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ৯ টা ৩৫ মিনিট। বাস এসে ক্যাম্পাসে হাজির। সবাই ছিলো বলেই ঠিক সময়ে বাস ছেড়ে দিলো। বাস ছোটছে আর গিটারের টুংটাং শব্দে বন্ধুদের পরিবেশনায় গান চলছে। চলছে হাসাহাসি আর কড়তালি। এরই মাঝে রাতদুপুরে আমরা পৌছি কুমিল্লা। সেখান থেকে হালকা নাস্তা সেড়ে আবার চট্টগ্রামের পথে। বন্ধুদের সুর আর গান নেই। সবাই ঝিমুচ্ছে। একটু পরেই সকাল হলো। ঘড়ির কাটায় ৭টা বেজে ৪০ মিনিট। আমরা তখন বান্দরবন শহরে। রেস্টহাউজে এসে বিশ্রাম, সাথে নাস্তটাও সেড়ে নিলো সবাই। তারপর দুপুর পর্যন্ত ঘুম।

চুনতি ওয়াইল্ড লাইফ সেঞ্চুরি
ঘুম থেকে জেগে ওঠে কয়েকজন মিলে রওনা হয়। হেঁটে বান্দরবান লামা অঞ্চলে অবস্থিত চুনতি ওয়াইল্ডলাইফ সেঞ্চুরি এর উদ্দেশ্যে । যেখানে মানুষ নিজেরাই বন রক্ষা করে থাকে। এ ছাড়াও সেখানে আছে সোশাল ফরেস্টি। আইইউবি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রজেক্ট ছিলো বলে আমরা কয়েকজন ম্যাপ নিয়ে কাজে নেমে গেলাম। আর সেটা ছিলো মাটি পরীক্ষা করে পরিবেশ সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা। মাটি কুড়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা আমাদের বিকেল হয়ে গেলো। সূর্যপ্রায় ডুবু।

টাইটানিক পাহাড়ে সূর্যোদয়
সন্ধ্যার পর আমরা চলে এলাম হোটেলে। রাত কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালের নাস্তা সেড়ে আমরা আবার চুনতির পথে। ঘন সবুজ গাছঘেরা বনের ছামিয়ানা চারদিকে। বনের ছায়াপথে আমরা হাঁটছি। ঝিরঝির সবুজ পাতার ছন্দ অনুভব করছি। প্রকৃতির কাছে থাকার অনুভব। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো। এরই ফাঁকে দুপুরের খাবারও সেড়ে নিলাম সবাই মিলে। হালকা বিশ্্রামের পরে বিকেল ঘনিয়ে এলো। এবার লামার টাইটানিক পাহাড়ে উঠে সূর্যাস্তের বেলাভূমি দেখা আমন্ত্রণ। সবাই রওনা দিলাম লামার উদ্দেশ্যে। মনলোভা সূর্যাস্ত দেখার উচ্ছাস সবার মনে। লামার মিরিঞ্জা টাইটানিক পাহাড়ই এখন আমাদের টার্গেট। আমরা শেষ বিকেলের সূর্যাস্তের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।

কক্সবাজার সাফারি পার্ক
আমাদের ডাকছে কক্সবাজার সাফারি পার্ক। সবুজ লতাপাতা, ঝোপঝাড় কিংবা গাছগাছালিি এই পার্কে ।দুপুরের দিকে পার্কে এসে আমরা চলে যায় হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে।  বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুক, গয়াল, কুমির, জলহস্তী, হরিণ, মিঠা ও নোনা পানির কুিমরসহ নানাবিধ পাখপাখালির মেলা রয়েছে। সবুজ-শ্যামল গাছপালায় বিস্তৃত
গাছের ডালে লাফিয়ে চলা কাঠবিড়ালী, বানর দেখার সুযোগ হারিয়ে ফেলতে পারেন। পায়ে হাটাই ভাল।

পার্কে প্রধান গেটেরে সামনে আমাদের স্বাগত জানালো  ডাইনোসরের প্রতিকৃতির অবস্থান। সামণে এগুলো চোখে এলো  বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণাগার। ও বামে চোখে পড়বে বন্য প্রাণী চিকিৎসালয়। হনুমান, ময়না পাখি ও বানর দেখতে দেখতে এগিয়ে যান। পার্কের ভিতর চিৎকার করবেন না। আর কোন প্রাণীকে খাবার দিবেন না। চলার পথে সাইনবোর্ডগুলো পড়বেন। এতে অনেক তথ্য পাবেন জ্ঞান বৃদ্ধি হবেই। এক সময় চোখে পড়বে ইমু, ময়ুর, বাঘের খাঁচা, কালো রংয়ের শেয়াল। একেবারে শেষপ্রান্তে দেখবেন জলহস্তী। এছাড়াও পাখিশালায় পাখি, তারপর কুমির ও সামনে দেখবেন হাতি।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/ই/জামি