যেভাবে উইন্ডিজ বধের ছক আঁকছে বাংলাদেশ দল

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ, ক্রিকেট পাড়াতে এবার আলোচনাতে নতুন খোরাক। অপেক্ষায় উইন্ডিজ সিরিজ। সেই সিরিজ খেলতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে ক্যারিবিয়ানরা। তবে আসার সময় একেবারেই খালি হাতে আসেনি দলের নিয়মিত অধিনায়ক হোল্ডার বিহীন কার্লোস ব্রাথওয়েটের দল। ভারতের সাথে তিনটি সিরিজ খোয়ালেও নিয়ে এসেছে কন্ডিশন সম্পর্কে ভাল ধারণা। তবে ভারতের থেকে বাংলাদেশের কন্ডিশন খানিক আলাদা হওয়াতেই কীনা এসব নিয়ে আপাতত ভাবছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টেস্টের সাথে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, তিন সিরিজই ভারতীয়দের কাছে হেরে বাংলাদেশ সফরে এসেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সিরিজ হারলেও শক্তিমত্তা তুলনাতে দাপটটা তারা দেখিয়েছে ঠিকই। একইসাথে ভারতের স্পিন অ্যাটাক সামলানোর পর উপমহাদেশের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা করেই এসেছে স্যামুয়েলস-হেটমায়াররা। তাইতো এদিক বিবেচনাতেও ঘরের মাঠে বেশ সাবধানী হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
তবে এখনই এমন চিন্তাতে যেতে চাচ্ছেন না দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, ‘এখানকার কন্ডিশন (ভারতের চেয়ে) কিছুটা আলাদা। আমরা যদি আমাদের হোম কন্ডিশন আমাদের মত করে নিতে পারি তাহলে ম্যাচে ফল আমাদের পক্ষে আনা সম্ভব।
বোলিং বিভাগে বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। সেই স্পিন দিয়ে জিম্বাবুয়ের সাথে সফল হওয়া গেলেও উইকেট থেকে পাওয়া যায়নি আহামরি কোন সমর্থন। তবে উইন্ডিজ সিরিজে এই বিষয়টা বেশ ভাবনাতে আছে রিয়াদের। তিনি জানিয়েছেন এবার উইকেট পেতে চান ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে যেমন উইকেট ছিলো।
রিয়াদ বলেন, ‘উইন্ডিজের সাথে সিরিজ শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে বসে আলোচনা করবো আসলে কেমন উইকেট চাচ্ছি আমরা। ওদের দলও আমাদের দেখতে হবে। আমরা সবসময় যেই ধরণেই স্পিনসহায়ক উইকেট করি সেই দিকেই হয়তো আমরা যাব।’
এদিকে জিম্বাবুয়ের সাথে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে স্পিনররা নিজেদের সেরাটাও দিলেও হতাশ করেছেন পেসাররা। তবে জিম্বাবুয়ে দলের চিত্রটা বিপরীত একদমই। স্পিন স্বর্গ হিসাবে ধরা হয় মিরপুরের উইকেটকে। কিন্তু এই ম্যাচেও বাংলাদেশের হারানো ১৩ উইকেটের ১১ টায় নিয়েছেন জার্ভিস-ত্রিপানোরা। তাইতো আলোচনাতে চলে আসে উইন্ডিজের পেস অ্যাটাকও।
এ প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ওভাবে চিন্তা করছি না। ওদের পেস বোলার রোচ-গ্যাব্রিয়েল সবাইকে আমরা কিন্তু উইন্ডিজে খেলে এসছি। ওই অভিজ্ঞতাটুকু আছে ওরা কিভাবে বোলিং করতে পারে। তাছাড়াও ওখানকার (উইন্ডিজের) উইকেট আর এখানকার উইকেটতো এক নয়। তাদের বোলারদের নিয়ে আমাদের কিছুটা চিন্তা থাকলেও, এই বিশ্বাসও আছে যে আমরা আমাদের স্কিলের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সাথে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট দল। যেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ।
