মুশফিকের নয় বছরের রেকর্ড ভাঙ্গলো সোহান

২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়ার পর থেকে ৪৩ ম্যাচেই গ্লাভস হাতে নেমেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। খালেদ মাসুদ পাইলটের যুগে ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিক। পাইলট পরবর্তী যুগে সব ফরম্যাটেই ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি উইকেটের পেছনেও দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটসম্যান।
গত বছর টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট গ্লাভস ছেড়েছিলেন। এবার চলতি বছরের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে গ্লাভস ছাড়লেন তরুণ ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের কাছে। অভিষেকের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। এখন পর্যন্ত ৪৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৪৩টি খেলেছেন মুশফিক।
প্রতিটিতেই উইকেট কিপিং করেছেন মুশফিক। যে তিনটি ম্যাচ মুশফিক খেলেননি সেগুলোতে কিপিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন লিটন কুমার দাস, এমানুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ মিথুন। তবে এবারই প্রথম একাদশে থেকেও কিপিং করছেন না মুশফিক। তার পরিবর্তে উইকেটের পেছনটা সামলাচ্ছেন ২২ বছর বয়সি কাজী নুরুল হাসান সোহান। গতকাল শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৮তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হওয়া সোহান কিপিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪৭টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা সোহান ১১৬টি ক্যাচ ও ১৭টি স্ট্যাম্পিং করেছেন। ৩৪টি লিস্ট এ ম্যাচে তার ঝুলিতে রয়েছে ৩৩ ক্যাচ ও ১৪টি স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ড। এছাড়া ২৮ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৯ ক্যাচ ও ৩ স্ট্যাম্পিং।
২০০৮ সালে পাকিস্তানের করাচিতে ধীমান ঘোষের মুশফিকুর রহিমের পরিবর্তে অভিষেক হয়। ওই একটি ম্যাচই ধীমান ঘোষ খেলেছিলেন।
২০১৪ সালের ১২ ফেব্রয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে কিপিং করেছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। একই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ ফেব্রয়ারি এনামুল হক বিজয় কিপিং করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন মুশফিক।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/এসএম
