আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৩:৪৪

শেষ চারে বরিশাল

স্পোর্টস ডেস্ক
শেষ চারে বরিশাল

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস-বরিশাল বুলসের । রিশালের বাঁচা মরার লড়াইয়ের এ ম্যাচটি জিতেছে বরিশাল। রায়াদ এমরিটসের লড়াকু ব্যাটিংয়েই সেমি-ফাইনালের টিকেট পেল।

এবারের বিপিএলে গ্রুপ পর্বে ১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স ও বরিশাল। সুপার চার নিশ্চিত করা ঢাকার পয়েন্ট ৮। আগামী শনিবার সেমি-ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা-বরিশাল।

শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করে ঢাকা। জবাবে দুই বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় বরিশাল। মেহেদি (৩৭) ছাড়া বরিশালের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

শেষতক এমরিটসই ৫৯ রানে ছয় উইকেট হারানো বরিশালের আশা বাঁচিয়ে দিল।  নবম উইকেটে নিখিল দত্তর সঙ্গে  এমরিটসএর ৪৩ রানের জুটিই বরিশাল দর্শকদের আনন্দের জোয়ারে ভাসাল। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন এমরিটস। তার ২৮ বলের ইনিংসটি ৬টি চার ও দুটি ছক্কা সমৃদ্ধ। এমরিটের সঙ্গে ৩.৩ ওভার স্থায়ী জুটিতে ৯ রান করেন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নিখিল।

২৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মোশাররফ হোসেন।

এর আগে ফরহাদ রেজার সঙ্গে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালোই হয় ঢাকার। কিন্তু ৫ রানের ব্যবধানে হাফিজ (২৫) ও রেজার বিদায়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। দলের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দ্রুত ফিরে যান নাসির হোসেন (১৪) ও ম্যালকম ওয়ালার (১০)।

 ৭২ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো ঢাকা লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও রায়ান টেন ডেসকাটের ব্যাটে। সর্বোচ্চ ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ডেসকাটে খেলেন ২২ রানের ছোট কিন্তু কার্যকর এক ইনিংস।

১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে বরিশালের সেরা বোলার নিখিল। কুয়েতে জন্ম নেওয়া কানাডার এই অফ স্পিনার বিদায় করেন হাফিজ, নাসির ও ওয়ালারকে।

ঢাকার প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই দুই অঙ্কে পৌঁছলেও তাদের কেউই নিজের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি। তাই এক সময়ে বড় সংগ্রহের আশা জাগানো দলটি শেষ পর্যন্ত বরিশালকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি। বোলাররা ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করলেও এমরিটসের অসাধারণ এক ইনিংসে শেষ হাসি হাসে মাহমুদউল্লাহর দলই।

ঢাকা-বরিশাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হল বিপিএলের তৃতীয় আসরের গ্রুপ পর্ব। বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে বিপক্ষে কুমিল্লার জয়ে মিলে যায় সমস্ত হিসাব-নিকাশ। তাই শেষ ম্যাচে চার জন করে নিয়মিত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেয় ঢাকা-বরিশাল।

সিলেটের হারে শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্রাম দিয়েছে নিয়মিত অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা, বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান, পেসার আবুল হাসান ও লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে।

ঢাকাকে হারালেও শীর্ষে দুইয়ে উঠার পথটা প্রায় অসম্ভব আগে থেকেই জানত বরিশাল (+০.৫৪)। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দুটি স্থানে থাকা কুমিল্লা (+০.৭৮৮) ও রংপুর রাইডার্স (+০.৬৯৩) তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাই ক্রিস গেইল, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সামি ও কেভন কুপারকে বিশ্রাম দেয় বরিশাল। তবে এমরিটেসের ব্যাট জ্বলে ওঠায় আত্মবিশ্বাস জাগানো এক জয় পায় বরিশাল।

বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জামা

উপরে